সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ ‘কোভিশিল্ড’! স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা ঠেকাতে মাঠে নামল সিরাম
করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে মডার্না-ফাইজারের পাশাপাশি রোজি আশার কথা শোনাচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা। এদিকে ভারতে এই টিকা প্রস্তুতির দায়িত্ব নিয়েছেন পুনের সিরাম ইন্সস্টিটিউট। নাম রাখা হয়েছে কোভিশিল্ড। কিন্তু এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার জেরে এই কোভিল্ডের ট্রায়ালও গত সপ্তাহে রীতিমতো প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়ে যায়। এবার তাই নিয়ে মুখ খুলল সিরাম ইন্সটিটিউট।

জল্পনা ঠেকাতে মাঠে নামল সিরাম
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে থেকেই পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে ভারতে ট্রায়াল শুরু করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা। ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল একদমই শেষের পথে। যদিও সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবক দাবি করেছেন, ট্রায়ালের পর থেকেই স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যার শিকার তিনি। এবার সেই প্রসঙ্গেই জল্পনা ঠেকাতে মঙ্গলবার মুখ খুলল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট ।

৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা
সম্প্রতি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যোগ দেন চেন্নাইয়ের বছর চল্লিশের রক স্বেচ্ছাসেবক। তাঁর অভিযোগ, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর থেকেই মারাত্মক শারীরিক সমস্যার শিকার হয়েছেন তিনি। দাবির ভিত্তিতে ৫কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও এসআইআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। অন্যদিকে গোটা দাবিকে ‘ভিত্তিহীন' বলে দাগিয়ে দিয়ে ১০০কোটি টাকার পাল্টা মানহানির মামলা করে এসআইআই।

শারীরিক সমস্যার কারণ ভ্যাকসিন নয়
জনৈক স্বেচ্ছাসেবকের দাবির পর থেকেই সংবাদমাধ্যম সহ ভারতের গবেষকমহলেও তীব্র জল্পনা তৈরি হয় কোভিশিল্ড নিয়ে। ধোঁয়াশা কাটাতে মঙ্গলবার এসআইআইয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কোভিশিল্ড সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ এবং রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী। ভ্যাকসিনের জন্য ওই স্বেচ্ছাসেবকের কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি। আমরা ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"

পুনের দাবিতে সহমত তদন্তকারীরা
পাশাপাশি সিরামের তরফে আরও জানান হয়েছে, "সবরকমের নিয়মাবলী ও সাবধানতা অবলম্বন করে ট্রায়াল হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকের দাবির ভিত্তিতে যাঁরা তদন্তের ভার নিয়েছিলেন, তাঁরাও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের ক্লিনচিট দিয়েছেন। পাশাপাশি ডিএসএমবিও জানিয়েছেন যে ওনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ভ্যাকসিনের জন্য হয়নি। তাই অযথা বিতর্কে কান দেবেন না।"

ভুয়ো দাবি ঠেকাতে মামলাই একমাত্র রাস্তা
সিরামের তরফে সংবাদমাধ্যমে এও জানান হয়, সবরকমের পরীক্ষানিরীক্ষা ও দীর্ঘদিনের ট্রায়াল ছাড়া ভারতের বাজারে ওষুধ আনবে না তারা। এসআইআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "সম্পূর্ণ ভুয়ো ও মিথ্যা দাবির মাধ্যমে যেভাবে ওই ব্যক্তি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন, তাতে এই মানহানির মামলা করাই একদমই সঠিক সিদ্ধান্ত। আগামীতেও আমরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকব।"

পিকেকে ভোট কৌশলী নিয়োগ তৃণমূলের ক্ষতি! একুশের আগে বিদ্রোহীর তালিকা দীর্ঘতর