বাড়ি বসে পেয়ে যান করোনার টেস্ট কিট, কোভিশেল্ফ এবার পাওয়া যাবে ফ্লিপকার্টেও
বাড়ি বসে পেয়ে যান করোনার টেস্ট কিট, কোভিশেল্ফ এবার পাওয়া যাবে ফ্লিপকার্টেও
ঘরে বসে মাত্র ১৫ মিনিটে করে ফেলা যাবে করোনার পরীক্ষা। আর সেই ম্যাজিক কিটের নাম 'কোভিশেল্ফ’। পুনের ডায়গনস্টিক ফার্ম এই কোভিশেল্ফের শিপিং শুরু করে দিয়েছে। তবে এই কিট এখন পাওয়া যাবে যে কোনও ওষুধের দোকান ও ই–মার্ট ফ্লিপকার্টেও।
ছাড়পত্র মে মাসে
মে মাসেই আইসিএমআরের পক্ষ থেকে এই ফার্মকে কোভিশেল্ফ তৈরি করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রথম কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, যা বাড়িতে বসেই করোনার টেস্ট করা যাবে খুব সহজে। এই কিটের দাম ২৫০ টাকা এবং এটি তৈরি করেছে মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন। এই সংস্থার হাত দিয়েই গত বছর প্রথম আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট ভারতে চালু হয়েছিল, যা এখন সকলেই কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য ব্যবহার করছেন।
এক কোটি কিট উৎপাদন
মাই ল্যাবের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসমুখ রাওয়াল জানিয়েছেন যে প্রত্যেক সপ্তাহে ৭০ লক্ষ করে টেস্ট কিট তৈরির ক্ষমতা রয়েছে এখন মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশনের যেটা জুনের প্রথমদিকে বেড়ে ১ কোটি টেস্ট কিটে পৌঁছে যাবে। কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই কিট ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সন্দেহ হলেই কিনে এনে বাড়িতেই করা যাবে এই টেস্ট।
কীভাবে করবেন এই পরীক্ষা
নিজের নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই টেস্ট করতে হবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে ১৮ বছর কিংবা বেশি বয়সিরা নিজেরাই নমুনা সংগ্রহ করবেন। এবং দুই থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্করা নমুনা সংগ্রহে সাহায্য করবেন। তবে কোনও উপসর্গ না থাকলে কিংবা কোনও কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির কাছাকাছি না এলে এই পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই বলেই জানাচ্ছে আইসিএমআর। সংস্থা জানাচ্ছে, ঘরে বসে এই টেস্ট করার জন্য সবার প্রথম 'কোভিশেল্ফ' নামক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপেল প্লে স্টোর থেকে। এরপর সেখানে ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।
ভবিষ্যতে পথ দেখাবে এই কিট
কোভিশেল্ফের মাধ্যমে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। প্রত্যেক কোভিশেল্ফের প্যাকেটে ইউনিক কিউআর কোড রয়েছে যেটা অ্যাপ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার সময় প্রয়োজন হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, যেভাবে ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে আগামীদিনে পথ দেখাবে এই কিট। পাশ্চাত্য বহু দেশেই এই ধরনের কিট ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে। এতে টেস্টিং ল্যাবগুলির ওপর থেকেও চাপ অনেকটাই কমে যায়।