কোভ্যাক্সিন ঘিরে জোর জল্পনা! ভারতীয় টিকার প্রয়োগ নিয়ে কী বলছে আইসিএমআর-এইমস?
ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাকসিনকে আপদকালীন নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া। বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার জন্য নিরাপদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াতে কার্যকর।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র মেলায় শোরগোল
ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একাধিক ভাইরাল প্রোটিনের শক্ত প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া সহ দুর্দান্ত সুরক্ষা ডেটা তৈরি করেছে। গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়াই সংস্থার মূল লক্ষ্য। কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে। তবে সেই পর্ব শেষ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র মেলায় তা নিয়ে শোরগোল তোলে বিরোধী দলগুলি।
কোভ্যাক্সিনকে 'ব্যাক-আপ' হিসাবে ব্যবহার করা হবে
এরপরই এবিষয়ে এইমস এবং আইসিএমআর-এর প্রধান জানান যে ভারত বায়োটেকের তৈরি করা কোভ্যাক্সিনকে 'ব্যাক-আপ' হিসাবে ব্যবহার করা হবে। জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য এইমস এবং আইসিএমআর-এর প্রধান। পাশাপাশি আরও জানানো হয়, ট্রায়ালের মতোই প্রয়োগ করা হবে কোভ্যাক্সিন। সম্মতিক্রমে যাঁরা এই ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হবে।
২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। গোটা দেশ মিলিয়ে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার লক্ষ্য ছিল। এটি কোরোনার ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা ছিল। এছাড়া ভারতে যে কোনও রকম ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা ছিল সবথেকে বড়।
এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওযা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়
কোভ্য়াক্সিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ১০০ জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। ট্রায়ালে বেশ ভালো সাড়া মিলেছিল। ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলিতে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে তাও ভারতে এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওযা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।