দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি কেন্দ্রের
দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন নীতি আয়োগের ডঃ ভিকে পাল। তিনি বলেন, 'দেশে মহামারীটির প্রভাব বেড়েছে। আগেই সতর্কতা প্রদান করা হয়েছিল যে পরিস্থিতিটিকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।'
এদিকে, দেশজুড়ে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায়, আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বৈসবেন প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠকে কোভিড টিকাকরণ কর্মসুচি নিয়েও আলোচনা হবে৷ এর আগে গত ১৭ মার্চ কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন নমো৷
বিশেষজ্ঞদের মত, দেশের একাধিক প্রান্তে ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ রোজই ৯০ হাজারের উপরে দৈনিক সংক্রমণ৷ গতকাল দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষের গণ্ডি পার করে গিয়েছিল৷ করোনার সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার কেন্দ্রীয় সরকার ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সি সমস্ত কর্মচারীকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিল৷ এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে৷
কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রকের তরফে এই জারি করা ওই নির্দেশিকায় টিকা নেওয়ার পাশাপাশি, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক বার বার ধোয়া এবং ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করার কথাও বলা হয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফে বলা হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে হলে দেশের নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে৷ প্যানডেমিককে হারাতে আগামী চার সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷
এখনও সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের৷ সেখানে নতুন করে কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে আরও ৪৭ হাজার ২৮৮ জনের৷ ফলে সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩.২৩ লক্ষ৷ ২৫ বছরের উপরে সবাইকে কোভিড টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷