জনতা কার্ফু: হাততালির থেকেও ১৩০ কোটির দেশে বেশি প্রয়োজন কীসের! বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
বহু চিকিৎসকের দাবি, করোনা ভাইরাসকে তাড়ানোর জন্য হাততালি বা আওয়াজের প্রয়োজন নেই। সেই মতোই শশী থরুর দাবি করেছেন, করোনা ভাইরাস রুখতে মোদীর জনতা কার্ফুর প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, একাধিক বিশেষজ্ঞের দাবি করোনা রুখতে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত হাততালির থেকে বেশি।

জনতা কার্ফু ও শঙ্খধ্বনি
২২ মার্চ বিকেল ৫টায় গোটা দেশ একযোগে হাততালি দিয়েছে। সঙ্গে ছিল শঙ্খধ্বনি। গৃহস্থে কোথাও ঘণ্টা বাজানো হয়েছে কোথাও বা ছাদে উঠে, মানুষ বাসন বাজিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে এভাবেই সকলে সাড়া দিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের বার্তা এতে সমস্যা মিটবে না। হাততালির থেকেও বেশি প্রয়োজন নিজেকে ঘরবন্দি রাখা।

হোম কোয়ারেন্টাইই একমাত্র পথ?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা শুধু অন্যের দেহ থেকে আপনার দেহেই ঈসতে পারে না। আপনার দেহে যদি তা সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে তা ছড়িয়ে যেতে পারে বিভিন্নভাবে। ফলে করোনা রুখতে বাড়িতে ঘরবন্দি থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।

কোয়ারেন্টাইন নিয়ে কেন্দ্রের বার্তা
কেন্দ্র জানিয়েছে,যে কোনও ব্যক্তি জেনে বা না জেনে করোনা আক্রান্তের সঙ্গে একই বাড়িতে বাস করলে তাঁর হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া বাধ্যতামূলক।করোনা আক্রান্তের সঙ্গে কোনও ব্যক্তির শারীরিক সংযোগ ঘটলে তাঁকেও বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরবন্দি থাকতে হবে ১৪ দিন।

শুধু কোয়ারেন্টাইনে গেলেই হবে না, নিতে হবে বড় পদক্ষেপ!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বলছে, যাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে, তাঁকে বয়স্ক, অন্তঃস্বত্ত্বা, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই ওই ব্যক্তিকে কোনও সমাজিক অনুষ্ঠান কিংবা ভিড়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

অন্যদিকে হাততালি ও করোনা প্রতিরোধ
এদিকে, ভারতের মতো বিশ্বের বহু দেশেই দেখা গিয়েছে কোয়ারেন্টাইনে থেকে মানুষের স্বতস্ফূর্ত হাততালি। সকলেই সেখানে এই বিপদের দিনে কর্মরত স্বাস্থ্য়কর্মী ও চিকিৎসক সহ অতি আবশ্যিক পরিস্থিতিতে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের প্রতি কুর্নিশ জানাতেই এই হাততালি দেওয়া হয়েছে। যা কর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাততালি সেভাবে করোনা তাড়াতে উপযোগী নয়।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু বার্তা
কেন্দ্রীয় নির্দেশ বলছে, স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, এমন ব্যক্তিকে নিয়মিত সাবান-জল কিংবা অ্যালকোহোলিক স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে।ওই ব্যক্তির ব্যবহার করা থালা, গ্লাস, কাপ, টাওয়েল, বিছানা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। পাশপাশি তাঁদের দাবি মাস্ক একবার ব্যবহারের পর তাকে স্যানিটাইজ করে সেটি ব্যবহার করতে হবে।

তারকারা বেছে নিয়েছেন কোয়ারেন্টাইন
নিজেকে গৃহবন্দি করে করোনা ছড়ানোর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন বহু তারকাই। বলিউডের অমিতাভ বচ্চন থেকে অক্ষয় কুমার, টলিউডে প্রসেনজিৎ , সকলেই আপাতত কোয়ারেন্টাইনে। আর এই পন্থাই শ্রেষ্ঠ পন্থা করোনা আটকাতে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।