করোনা আক্রান্তদের অকালে চলে যেতে পারে শ্রবণ শক্তি, দাবি নতুন গবেষণায়
করোনা আক্রান্তদের অকালে চলে যেতে পারে শ্রবণ শক্তি, দাবি নতুন গবেষণায়
করোনা ভাইরাসের জেরে ফুসফুস দীর্ঘদিনের জন্য অকেজো হয়ে যেতে পারে, বহু পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়েছে। এবার এক নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে করোনা ভাইরাসের জন্য আটজন রোগীর মধ্যে একজনের শ্রবণশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১২১ জনের ওপর গবেষণা
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিওলজিস্টরা হাসপাতালে ভর্তি ১২১ জন করোনা ভাইরাস রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, আটজনের শ্রবণশক্তি খুবই বাজে অবস্থায় রয়েছে এবং অন্য আটজনের কানে ধাঁধা লেগে যাওয়ার মতো শব্দ হচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে হাম, মাম্পস এবং মিসেলসের কারণেও শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
করোনা ভাইরাস শ্রবণশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে
মানুষের সংক্রমণ হিসাবে পরিচিত অন্যান্য করোনা ভাইরাসগুলি মস্তিষ্কে এবং তার থেকে তথ্য বহনকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। শীর্ষ গবেষক প্রফেসর কেভিন মুনরো বলেন, ‘এটা সম্ভব হতে পারে, তত্ত্ব অনুসারে, কোভিড-১৯ মধ্য শ্রুতি বা কোচলিসহ শ্রুতি পদ্ধতির অংশগুলির মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।' মাঝের কানটিতে এমন একটি নল রয়েছে যেটি কানের ড্রাম থেকে শ্রবণ স্নায়ু এবং গলার দিকে নিয়ে যায়। এটি কোচলিয়ার পাশ দিয়ে যায়, এটি একটি ফাঁকা, সর্পিল আকারের হাড় অভ্যন্তরীণ কানে পাওয়া যায়, যা শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কানের ভূমিকা
অধ্যাপক মুনরো বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, শ্রুতি নিউরোপ্যাথি, এটি একটি শ্রবণ জনিত ব্যাধি, যেখানে কোচলিয়ার কাজ করে তবে মস্তিষ্কে শ্রবণ স্নায়ুকে মস্তিষ্কে পাঠাতে ব্যর্থ হয়।' যাদের শ্রবণ নিউরোপ্যাথি রয়েছে, তাঁদের আশেপাশে কোলাহল বা পাবের জোর মিউজিকে শুনতে সমস্যা হবে।
গিলাইন–ব্যারে সিনড্রোম
কানের আরও একটি ব্যাধি গিলাইন-ব্যারে সিনড্রোম যা শ্রুতি নিউরোপ্যাথির সঙ্গে যুক্ত এবং এখানেও করোনা ভাইরাস যোগ রয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর এই সমীক্ষায় যোদগানকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে তাঁরা ফোনে কেমন শুনতে পারছেন? ১৬ জন রোগী (১৩.২ শতাংশ) জানিয়েছেন যে অত্যন্ত বাজে শ্রবণশক্তি হয়ে গিয়েছে তাঁদের, আটজন জানিয়েছেন যে তাঁদের শ্রবণশক্তির অবনতি ঘটেছে এবং চারজন শুধু জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯-এর আগেই তাঁদের শ্রবণের সমস্যা ছিল। এছাড়াও আটজন জানান যে তাঁদের কানের ভেতর ধাঁধা লেগে যাচ্ছে এবং তিনজনের শ্রবণশক্তি আগেই হারিয়ে গিয়েছিল। সাধারণত ৬৪ বছর গড় বয়সকালে কানে শোনার সমস্যার সৃষ্টি হয়।
করোনা ও কানের সমস্যার যোগ
গবেষকরা জানিয়েছেন যে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ, মাস্ক ব্যবহার করা, যেটা পরে কথা বলা খুবই কঠিন, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেইসব কারণেও অনেক সময় শ্রবণশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভূমি পুজোয় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন নরেন্দ্র মোদীর অযোধ্যা সফরের এক ঝলক