কোভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ভলান্টিয়ারের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য! ঘটনায় ভ্যাকসিনের কোনও যোগ নেই দাবি ভারত বায়োটেকের
ভোপালে এক কোভ্যাকসিন ( covaxin) ভলান্টিয়ারের মৃত্যু। ৪৫ বছরের দিন মজুর ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর-এর ( Bharat Biotech-icmr) কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। ক্যাম্প হয়েছিল ভোপালের পিপলস মেডিকেল কলেজ
ভোপালে এক কোভ্যাকসিন ( covaxin) ভলান্টিয়ারের মৃত্যু। ৪৫ বছরের দিন মজুর ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর-এর ( Bharat Biotech-icmr) কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। ক্যাম্প হয়েছিল ভোপালের পিপলস মেডিকেল কলেজে। হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার নয়দিন পরে তাঁর মৃত্যু (death) হয়। যদিও ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই মৃত্যুর পিছনে ভ্যাকসিন কোনও ভাবেই দায়ী নয়।
অসুস্থ অবস্থায় আনা হয়েছিল হাসপাতালে
দীপক মারায়ি ছিলেন ভোপালের ১৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের একজন। অবিরাম বমির উপসর্গ তাঁকে ভোপালের গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁরই ২৪ বছরের ছেলে সুরজ। হাসপাতালে ডিন একে দীক্ষিত জানিয়েছেন, মারায়ির মৃত্যুর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ইনস্টিটিউশনাল এথিক্স কমিটি, সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন এবং ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডের কাছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার সাতদিন পরেই সুস্থ
ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, নাম নথিভুক্তির সময় ওই ভলান্টিয়ার তাঁর অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সবরকমের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করেছিলেন। পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার সাতদিন পরেও তিনি সুস্থ ছিলেন বলেও জানানো হয়েছে ভারত বায়োটেকের তরফে। সেই সময় নিয়মিত হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও ছিল। তবে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বিরূপ ঘটনা ঘটতে পারে যদি সেই ব্যক্তির আগে থেকেই অন্য কোনও রোগ থেকে থাকে, সেই কারণে।
রাজ্য সরকারের ছয় সদস্যের কমিটিও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আগেই অলক্লিয়ার রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআর প্রোটোকল অনুযায়ীই কাজ করেছে।
বাড়ির কেউই জানতেন না
দীপক মারায়ির ২৪ বছরের ছেলে সুরজ জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে যে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছে, তা তারা আগে থেকে জানতেন না। আর অসুস্থ হওয়ার পরেও তিনি হাসপাতালে যেতে চাননি। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায়, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট
তিন সন্তানের পিতা দীপক মারায়ির পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিষক্রিয়ার জেরে হৃদযন্ত্র এবং শ্বাসনালীর অসুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিসেরা পাঠানো হয়েছে রিজিওনাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের বিবৃতিতে এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের খারাপ প্রভাবের বিষয়ে পুরোপুরি তদন্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য ভ্যাকসিন কোনও ভাবেই দায়ী নয় বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তরফেও এব্যাপারে কোনও ফাঁক থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
কোভ্যাকসিনকে অনুমতি
গত সপ্তাহে কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনুমতি দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডকেও। যদিও কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রালায়ের তথ্য এখনও হাতে পায়নি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।