নিরাপদ কোভ্যাক্সিন, করোনারোধী অ্যান্টিবডি তৈরিতেও বড় ভূমিকা! ট্রায়াল রিপোর্টে আশার আলো
নিরাপদ কোভ্যাক্সিন, করোনারোধী অ্যান্টিবডি তৈরিতেও বড় ভূমিকা! ট্রায়াল রিপোর্টে আশার আলো
দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই টিকা আতঙ্কের জেরে কোভ্যাক্সিন নিতে পিছু হটছেন সিংহভাগ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিকে রাজ্যে-রাজ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষের আগেই ভারত বায়োটেককে ছাড়পত্র দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়েও। এমতাবস্থায় এবার বিতর্কের মাঝেই প্রথম পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ করল ভারত বায়োটেক।
প্রথম পর্বের ট্রায়াল রিপোর্টে নিরাপদ বলে তকমা
আর এই ট্রায়াল রিপোর্টেই কোভ্যাক্সিনকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে তকমা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই টিকার ব্যবহারে শরীরে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে কোভ্যাক্সিন। এদিকে ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে আসার আগেই ইতিমধ্যেই ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে এই প্রতিষেধক যথেষ্ট নিরাপদ বলেই জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেকের সাথে সাথেই এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতি হাত লাগিয়েছিল আইসিএমআরও।
দেশজুড়ে ১২টি কেন্দ্রে চলে কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্বের মানব ট্রায়াল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জুলাই মাসের ২৪ তারিখ দিল্লির এইমসে প্রথম এই ভ্যাকসিনের ইউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়। পাশাপাশি দেশের আরও ১১ টি কেন্দ্রে চলে ট্রায়াল। সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। যারা প্রত্যেকেই বর্তমানে সুস্থ আছে এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই ট্রায়াল রিপোর্টে হাতিয়ার করেই কোভ্যাক্সিন কার্যকারিতা নিয়ে জনভিত্তি গড়ে তুলতে মাঠে নামতে পারে কেন্দ্র।
কাদের কোভ্যাক্সিন নিতে নিষেধ করছে ভারত বায়োটেক ?
অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে বাছা হয় বলেও জানা যায়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে ২৩ হাজার স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবকের উপর চলে তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা সবেমাত্র মা হয়েছেন, এমন নাগরিকদের কোভ্যাক্সিন নিতে স্পষ্ট নিষেধ করেছে ভারত বায়োটেক। পাশাপাশি অ্যালার্জি, জ্বর, রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকলে অথবা, অন্যান্য কোনো রোগ থাকলেও নেওয়া যাবে না কোভ্যাক্সিন।
ঠিক কী ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর ?
তাছাড়া দু'ডোজের কোভ্যাক্সিন-এর সঙ্গে অন্যান্য ভ্যাকসিন নিলেও বিরূপ প্রভাব সম্পর্কেও ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে ভারত বায়োটেকের তরফে। একইসাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন কোনো ওষুধ খেলে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সাফ 'না' করেছে ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে এই টিকা নেওয়ার পর টিকা দেওয়ার জায়গায় ব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমির মতো সব থেকে বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের।
কঠিন পরীক্ষায় পাশ করলেই সভাপতি পদে ফিরবেন রাহুল! কী জানাল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি?