মোরাদাবাদে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণকারী পাথরবাজদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
মোরাদাবাদে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণকারী পাথরবাজদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
করোনা যুদ্ধে জিততে দিকে দিকে যুদ্ধের ময়দানে অবিরাম লড়াই করে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরা। কিন্তু তারপরেও একাধিক এলাকায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে তারপরেই। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইঁট, পাথর।
ভোর রাতেই চলে শুনানি
যদিও ঘটনার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার ভোরে তিনটে ১৭ জন অভিযুক্তকে মোরাদাবাদের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে সকল অভিযুক্তকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সকাল ৫টা ১৫ নাগাদ দোষীদের গারদেও পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, বুধবার মোরাদাবাদে বেশ কয়েকজন করোনা সন্দিগ্ধদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে চিকিৎসকদের একটি দল সেখানে পৌঁছায়। কিন্তু চিকিৎসকদের দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ কোয়ারেন্টাইনে ঠিক ভাবে খাওয়ার দেওয়া হয়না। শুরু হয় তুমুল হই-হট্টগোল।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে নতুন আইন প্রণয়নের আর্জি
অন্যদিকে এত সকালে আদালত খোলা এবং একইসাথে শুনানির ঘটনা এ দেশে খুবই বিরল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এখনও পর্যন্ত চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণের কমপক্ষে সাতটি ঘটনা গোটা দেশে দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই এই ধরণের আক্রামণ ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দারস্থও হয়েছেন চিকিত্সকেরা। রিসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বা আরডিএ-র তরফ থেকে এই ক্ষেত্রে নতু আই প্রণয়নের আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রিমান্ড ম্যাজিস্ট্রেট নিজের বাড়িতেই মামলার শুনানি চালান
বর্তমানে দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই মোরাদাবাদের ঘটনায় দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে গতকালই নবাবপুরাতে চিকিৎসক আর পুলিশ টিমের উপর পাথর ছোঁড়া ১৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আর তৎকাল আদালতেও পেশ করার আবেদন জানায়। আদালতে এই মামলার গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভোর তিনটের সময় রিমান্ড ম্যাজিস্ট্রেট নিজের বাড়িতেই এই মামলার শুনানি করেন। এরপর সাতজন মহিলা সমেত ১৭ জন দোষীকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।