লোন মোরাটোরিয়াম নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ না করাই উচিত, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
লোন মোরাটোরিয়াম নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ না করাই উচিত, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
আর বেশিদিন লোন মোরাটোরিয়াম টানা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টকে হলফ নামা দিয়ে জানিয়ে আরবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে লোন মোরাটোরিয়াম একেবারেই মহামারী পরিস্থিতিতে তৈরি একটি পদক্ষেপ। সেটা নিয়ে আদালতের হস্তক্ষোপ না করাই উচিত। ১৩ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়া উচিত ছিল তার আগেই এই বক্তব্য শীর্ষ আদালতকে জানিয়েেছ আরবিআই।
সুপ্রিম কোর্টকে জানাল আরবিআই
করোনা কালে লোন মোরাটোরিয়ামের সুদ মাফ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রাহকরা। এই নিয়ে কেন্দ্রকে পথ বের করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার পরবর্তী শুনানির আগেই শীর্ষ আদালতকে আরবিআই জানায় এই নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ না করাই ভাল।কারণ আর বেশিদিন লোন মোরাটোরিয়াম টানা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৩ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।
লোন মোরাটোরিয়াম আর সম্ভব নয়
করোনা মহামারী সময়ের জন্যই লোন মোরাটোরিয়াম দেওয়া হয়েছিল। সেটি একেবারে কেন্দ্রের পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত ছিল। আরে বেশিদিন সেটা টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আরবিআই। এটা একেবারেই কেন্দ্রের একটি সরকারি সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লোন মোরাটোরিয়াম মামলায় ২ কোটি টাকা পর্যন্ত সুদ মাফের প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই পরিকল্পনা যথেষ্ট নয় বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
সুদ মাফের আর্জি
করোনা পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য লোন মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল মোদী সরকারে। তাতে একাধিক সংস্থা সাময়িক ভাবে সুবিধা পাবে বলে মনে করেছিল কেন্দ্র। কারন লকডাউন ঘোষণায় ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় থমকে গিয়েছিল। তারপরেই মোরাটোরিয়াম কাটতেই তার সুদের বোঝা চাপতে শুরু করে গ্রাহকদের কাছে। সেই সুদ মাফের দাবিতেই আদালতে মামলা করেন গ্রাহকরা।
করোনা মহামারীতে মোরাটোরিয়াম ঘোষণা
করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। সেই সময় গোটা দেশ প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। দোকান বাজার, গণপরিবহণ সব বন্ধ করে দেওয়া হয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া কোনও কিছুই সচল রাখা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিপুল আর্থিক চাপের মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ। একাধিক ঋণ গ্রহীতা সংকটে পড়বেন আন্দাজ করেই লোন মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।