
করোনাতে ভালো কাজে জুটেছিল প্রশংসা! সেই শৈলজার বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ আদালতের
অস্বস্তি বাড়ল কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজার। করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছিলেন শৈলজা তা গোটা দেশের নজরে পড়েছিল। এমনকি বিদেশ থেকেও তাঁর কাজকে প্রশংসা জানানো হয়েছিল। এবার সেই শৈলজার বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ। কেরলের লোকায়ুক্ত আদালতে পিপিই কিট কেনা নিয়ে একটি দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল।

আর এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। আর সেখানেই শৈলজার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল সে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। বলে রাখা প্রয়োজন, করোনা যোদ্ধাদের জন্যে ব্যবহৃত পিপিই কিট কেনা হয়েছিল। সেই সমস্ত জিনিস অনেক বেশি দামে কেনা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
দেশে যখন প্রথম করোনা বাড়তে শুরু হয় সেই সময় এই পিপিই কিটগুলি কেনা হয়েছিল। আর তা অনেক দামে কেনা হয় বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস নেতা বীনা এস নায়ার। এমনকি শৈলজার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও সামনে আসে। কংগ্রেস নেতা বলেন, এক একটি পিপিই কিট কিনতে ১,৫৫০ টাকা খরচ করা হয়েছিল। যা খোলা বাজারের দামের তুলনায় অনেক বেশি ছিল বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয় বিরোধী শিবিরের তরফে।
আর এরপরেই তদন্ত শুরু করে কেরলের দুর্নীতিদমন শাখা। আর সেই তদন্তের স্বার্থে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শৈলজাকে তলব করে দুর্নীতিদমন শাখা। গত বছর ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় বাম নেত্রীকে। একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই জেরা পর্ব। খোদ বাম রাজ্যে এভাবে প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেরার ঘটনায় শুরু হয় জোর রাজনৈতিক তরজা।
যদিও পিপিই কিট যে কেনা হয়েছিল তা মেনে ইতিমধ্যে নিয়েছেন কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে তা কিনতে যে দুর্নীতি হয়েছে তা মেনে নেননি তিনি। রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত করতেই এই অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শৈলজা। দাম যে একটি বেশি পরেছে তা মেনে নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, করোনার সময় স্বাস্থ্য কর্মীদের বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এমনকি করোনা যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথা রাখা ছিল। ফলে পিপিই কিটের মান নিয়ে কোনও আপস করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমনকি এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সবটাই জানতেন বলে জানানো হয়েছে। এমনকি তাঁর অনুমতিতেই পিপিই কিট কেনা হয় বলেও জানিয়েছেন বাম নেত্রী।
যদিও এই বিতর্কে ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এবার কেরলের লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে তদন্তের মুখে পড়তে হল কেকে শৈলজাকে। যা নিঃসন্দেহে চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।