জেএনইউ-তে হিংসা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণের জন্যে গুগল, ফেসবুক নোটিশ জারি দিল্লি হাইকোর্টের
জেএনইউ-তে হিংসা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণের জন্যে গুগল, ফেসবুক নোটিশ জারি দিল্লি হাইকোর্টের
জেএনইউ-তে হিংসা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণের জন্যে হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল, ফেসবুক ও অ্যাপেলকে নোটিশ ইস্যু করল দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি হিংসার তথ্য সম্পর্কিত সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া দিল্লি সরকারকে ও দিল্লি পুলিশের থেকে জেএনইউ হামলা সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলে দিল্লির হাইকোর্ট।
১৩৫টি সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ
আজ দিল্লি পুলিশ আদালতে জানায় যে জেএনইউ-র এক হাজার একর বড় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৫টি সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তারা। এর আগে জেএনইউ- তিনজন প্রফেসর অমিত পরমেশ্বরন, শুকলা সাওয়ান্ত ও অতুল সুদ এই সংক্রান্ত একটি আবেদন জানান দিল্লি হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতেই আজ মামলার শুনানি হয়। সেই সময় আদালত এই নির্দেশগুলি দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার।
তদন্তে রয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ
৫ জানুয়ারি জেএনইউ-তে হিংসার ঘটনাটির তদন্তে রয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ঘটনার সাত দিন হয়ে গেলেও কোনও গ্রেফতারি করা সম্ভব হয়নি। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি জয় তির্কে জানান যে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তারা ৯ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে যারা হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ
এরপরে জেএনইউ-তে হামলাকারী আরও ৩৭ জনকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিশ। এরা সকলেই 'ইউনিটি আগেনস্ট লেফ্ট' নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০জন বহিরাগত আছে বলেও জানা দিল্লি পুলিশ। এবং জেএনইউ ছাত্রদের একাংশই সেই বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে সাহায্য করে বলেও জানায় পুলিশ।
প্রমাণ লোপাট যাতে না হয়, তাই আবেদন
জেএনইউ ক্যাম্পেসে ঘটা তাণ্ডবের ঘটনায় সোমবার এফআইআর নেয় দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে যে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের বিভিন্ন ভিডিও দেখে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তারা। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি দেবেন্দ্র আচার্য এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াশুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আমরা এফআইআর করেছি।' সেই কারণেই যাতে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট না হয় তাই জনসংযোগমাধ্যগুলির তথ্য সংরক্ষণ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন জেএনইউ প্রফেসররা।