আদালতে দেখা নেই, মোরবি প্রশাসন চালাকি করছে বলে জানাল আদালত
আদালতে দেখা নেই, মোরবি প্রশাসন চালাকি করছে বলে জানাল আদালত
মোরবি পুরপ্রশাসন চালাকি করছে ব্রিজ ভেঙে পড়ার দুর্ঘটনায়। বিচারপতি গুজরাত হাইকোর্টে এমনটাই মন্তব্য করলেন। অভিযোগ এই মামলার শুনানিতে ব্রিজ কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হয়নি।
সেদিনের ঘটনা
অক্টোবর ৩০ তারিখ। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল মোরবি ব্রিজ। সদ্য খোলা হয়েছিল সাত মাস ধরে মেরামতির পরে ওই ব্রিজটি। কয়েকশো মানুষ ছিলে ব্রিজে সেই সময়।
জলে পড়ে যান সকলে গোটা ব্রিজ ভেঙে। ১৩৫-এ মৃত্যুমিছিল পৌঁছয়। শিশুও ছিল বেশ কয়েক জন ওই সময়ে। এরপর একের পর এক গাফিলতি এই ঘটনায় ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার দিকে উঠে আসে। ৯ জনক গ্রেফতার করা হয়।
ওই
তালিকায়
ছিল
সংস্থার
দুই
ম্যানেজার,
সেতু
মেরামতির
দু'জন
সাব-কনট্রাক্টর
এবং
নিরাপত্তারক্ষী
ও
টিকিট
বুকিং
ক্লার্ক-সহ
আরও
পাঁচজন।
আদালতে
মামলা
দায়ের
হয়।
ওই ব্রিজ যে খোলা হবে তাদের থেকে 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' নেওয়া হয়নি বলে মোরবি প্রশাসন জানিয়ে দেয়। সংস্থা সময়ের আগে ব্রিজ খুলে দিয়েছিল। এতে খুশি নয় আদালত। 'ক্লিনচিট' দেওয়া হচ্ছে না তাই। এদিন শুনানি চলছিল।
কী জিজ্ঞাসা করেছে আদালত?
হাইকোর্টের
প্রধান
বিচারপতি
অরবিন্দ
কুমার।
তিনি
মুখ্যসচিবকে
জিজ্ঞাসা
করেন
যে,
ব্রিজ
রক্ষণাবেক্ষণ
করার
জন্য
প্রকাশ্যে
টেন্ডার
ডাকা
হয়নি
কেন?
ঘটনা
হল,
ব্রিজটির
রক্ষণাবেক্ষণের
দায়িত্বে
ছিল
ঘড়ি
প্রস্তুতকারী
সংস্থার
অজন্তা।
তাদের
কথায়
কাজ
করত
'ওরেভা'।
মূলত অজন্তাকেই ১৫ বছরের চুক্তি দিয়েছিল সরকার। মেরামতির কাগজ চাইতে আরও অবাক হয়ে যায় আদালত। দেখে যে মাত্র দেড় পাতার কাগজ। জিজ্ঞাসা করে যে এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লেখালেখি মাত্র এই কটা পাতা?
২০০৮ সালের পর ওই ব্রিজে কাজ হয় ২০১৭ সালে। প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন পর্যন্ত ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে করা হল? বিচারপতি গুজরাত সরকারের ৬টি দফতর থেকে জবাব তলব করেছে।
উপকরণ অত্যন্ত নিম্নমানের
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেতু সংস্কারের উপকরণ অত্যন্ত নিম্নমানের। কাঠামোটি দুর্বল। প্রয়োজনীয় কোনও অডিট হয়নি। ব্রিজটির মরচে পড়ে গেছিল। সেটাও করা হয়নি পরিবর্তন। তাই এই বিপর্যয় ঘটে। এতে নতুন অ্যালুমিনিয়ামের পাত লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি সব যা ছিল তেমনই রেখে দেয়া হয়।
পুলিশ কী বলেছে?
পুলিশ জানিয়েছে এই কাজের অযোগ্য কর্মী রাখা হয়েছিল। তাঁদের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। সেতুর বহন ক্ষমতা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। জরুরি উদ্ধারকাজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কোনও লাইফগার্ড ছিল না। ফল হয়েছে ভয়ঙ্কর।