গান্ধী ময়দান ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত
গান্ধী ময়দান ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত
প্রায় ৮ বছর বাদে গান্ধী ময়দান সিরিয়াল ব্লাস্টের অভিযুক্তদের সাজা শোনাল আদালত। ২০১৩ তে এই বোমা বিষ্ফোরণে অভিযুক্ত মোট ন'জনকে শাস্তি দিয়েছে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। যার মধ্যে চারজনকে সরাসরি মৃত্যুদণ্ড এবং দু'জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি দু'জনকে ১০ বছরের কারাবাস এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিষ্ফোরণ ঘটেছিল। বিষ্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ছ'জন, আহত হয়েছিলেন বহু৷ বিশেষ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি গুরবিন্দর মেহরোত্রা এই রায় দেন। তিনি একজন অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসও করেছেন। ন'জন অভিযুক্ত হল ইমতিয়াজ আনসারি, মুজিবুল্লাহ, হায়দর আলি, ফিরোজ আসলাম, ওমর আনিসারি, ইফতিকর, আহমেদ হুসেইন, উমর সিদ্দিকী এবং আজহারউদ্দীন। ফাখরুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। ২০১৩ সালে 'হুঙ্কার মিছিল'এর ডাক দিয়েছিল তারা। ২৭ অক্টোবর বিহারের গান্ধী ময়দানে তেমনই এক সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীর। সেই সভাতেই বিষ্ফোরণ ঘটে। বিষ্ফোরণের পর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টও হয় মানুষ৷ সবমিলিয়ে ছ'জন ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন সেদিন। কিন্তু এই গোটা ঘটনার পেছনে কারা দায়ী তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোয়েন্দারা প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিলেন, এ কাজ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের।
প্রসঙ্গত ২০১৩ র মোদীর ওই জনসভায় পৌঁছানোর আগে বিহারের পটনা স্টেশনে একটি বোমা বোস্ফোরণ হয়। তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে সময় ছিলেন পটনা বিমানবন্দরে৷ এরপর দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মোদীর জনসভাস্থলে পরপর বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং ৩টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল৷ কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের দলের কিছু নেতা সে সময় অভিযোগ করেছিল ভোটের আগে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করানো হয়েছে বিজেপির প্রতি দূর্বল কোনও পক্ষ থেকেই৷
২০১৩ থেকে ২০২১ এর ব্যবধানে এই ঘটনার দোষীরা শাস্তি পাওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষোভ মিটেছে যারা ওইদিনের বিস্ফোরণে প্রিয়জনদের হারিয়েছেন কিংবা আহত হয়েছেন।