সেই রাজস্থান, প্রাক্তন স্বামীর বিকৃত প্রতিশোধের শিকার যুবক-যুবতী
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার জন্য রাজস্থানের এক দম্পতিকে প্রহার করা ও বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবার নীতি পুলিশির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হল রাজস্থান। উদয়পুরের এক গ্রামে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের 'অপরাধ'-এ এক যুবক-যুবতীকে প্রথমে মারধর তারপর নগ্ন করে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম। গ্রামের পুরুষ এমনকী মহিলারাও হাসাহাসি করে তুলে রাখলেন এই নক্কারজনক ঘটনার ভিডিও। অবশ্য উদয়পুর পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে।
ঘটনাস্থল উদয়পুরের খুর্দ গ্রাম। বছর পাঁচেক আগে এই গ্রামেরই তরু গামেতির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবতীর। কিন্তু তাদের সেই বিয়ে মানেনি পঞ্চায়েত। তাদের সেই বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর আবার ওই যুবতী বিয়ে করেন ঝাদোলের বাসিন্দা মাঙ্গিলাল গামেতিকে। কিন্তু সেই বিয়েও টেকেনি। সম্প্রতি ওই যুবতী ফিরে আসেন খুর্দে। এরপর রামলাল গামেতি নামে খুর্দেরই আরেক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। বিয়ে না করেই তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
এই খবর পেয়েই চটে যায় যুবতীর প্রথম স্বামী তরু। মাঙ্গিলালকে ছেড়ে খুর্দে ফিরে এসেও তাঁর সঙ্গে ওই যুবতী যোগাযোগ করেননি, এটাই সে মানতে পারেনি। ফলে প্রতিশোধ নিতে ভাই হরিশ ও কাকা কালু গামোতিকে নিয়ে সে চড়াও হয়েছিল রামলালের বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে এই তিনজন জোর করে ওই বাড়িতে ঢুকে রামলাল ও ওই যুবতী উভয়কেই বেদম প্রহার করে। তারপর তাদের বিবস্ত্র করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম। গ্রামের কেউ ওই ঘটনার প্রতিবাদ তো করেনইনি, বদলে ওই যুবক-যুবতীকে নিয়ে হাসাহাসি করে ঘটনার ভিডিও তুলে রাখে।
সেই ভিডিও শুক্রবার ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও-র সূত্র ধরেই ঘটনার খবর পৌঁছায় স্থানীয় থানায়। এরপরই আটক করা হয় হরিশ ও কালু গামেতিকে। যদিও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তরু। তবে এই ঘটনায় শুধু তরুই নয়, গ্রামবাসীদের যারা যারা ভিডিও তুলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উদয়পুরের এএসপি হর্ষ রত্ন। তাদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে স্থানীয় থানা।