গতবারের তুলনায় লোকসভা ভোটে খরচ বেড়েছে ১৩১ শতাংশ, ভোটদানের হারেও রেকর্ড

১৯৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ১০.৪৫ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে খরচ হয়েছিল ১৪৮৩ কোটি টাকা। আর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ১৬ মে পর্যন্ত খরচের বহর দাঁড়াচ্ছে ৩৪২৬ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনের মতে, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারদের সংখ্যা। সমানুপাতিকভাবে ভোটকর্মী, সরঞ্জাম ইত্যাদির সংখ্যাও বাড়াতে হয়েছে। ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে। পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতির ফলে টাকার দাম কমে যাওয়ায় বাড়াতে হয়েছে তার পরিমাণ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে স্বাভাবিকভাবেই এটা আরও বাড়বে।
অন্যদিকে, গত পাঁচ বছরে নবীন ভোটার বেড়েছে ১১.৪০ কোটি। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৪১.৭ কোটি ভোটার। এবার ৫৫.১ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। যদিও মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৮১ কোটি। শতকরা হারে ৬৬.৪ শতাংশ। ১৯৮৪ সালের পর ভোটের হার আর এত বাড়েনি। তখন ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর যে সহানুভূতির ঢেউ উঠেছিল, তার জেরে ভোটের হার দাঁড়িয়েছিল ৬৪ শতাংশ।
এবারের লোকসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি মতদানের হার দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ৮১.৮ শতাংশ। অন্যান্য রাজ্যে এই পরিমাণ তুলনায় কম। যেমন ওডিশায় ৭৪.৪ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ৭৪.২ শতাংশ, কেরল ৭৪ শতাংশ এবং তামিলনাড়ু ৭৩.৭ শতাংশ। দেশের দুই বড় রাজ্য বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ভোটের হার খুবই হতাশাব্যঞ্জক। যথাক্রমে ৫৬.৫ শতাংশ এবং ৫৮.৬ শতাংশ। বোঝা যাচ্ছে, ভোটদানের সপক্ষে নির্বাচন কমিশন বিস্তর প্রচার চালালেও তা বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি এই দুই বড় রাজ্যে। এ ছাড়া, দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলেও তেমন বাড়েনি ভোটের হার।