গতকালের চেয়ে সামান্য বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় পতন
গতকালের চেয়ে সামান্য বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় পতন
গতকালের চেয়ে সামান্য বেড়েছে দেশের দৈনিত করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬.১৩৫ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬,১৩৫ জন। এদিকে আবার করোনা সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২৮ জন। গতকালের চেয়ে অনেকটাই কম। গতকাল মারা গিয়েছিলেন ৩১ জন।
করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। খুব একটা কমার লক্ষণ নেই। গত এক মাস ধরেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা দেশে বাড়তে শুরু করেছ। গবেষকদের দাবি চতুর্থ ওয়েভ দেশে থাবা বসাতে শুরু করেছে। সেই শঙ্কার কথা শোনার পরেই কেন্দ্রর তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। একাধিক রাজ্য ইতিমধ্যই বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে দেশে।
দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ পার করে গিয়েছে। তাতই আরও বেশি উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্র, কেরল তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। অন্যদিকে কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৪২ জন। তামিলনাড়ুতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেেছ। তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৭২ জন। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২২ জন। প্রায় ২ হাজােরর কাছে পৌঁছে গিয়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে মারা যাওয়ার সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গে মারা গিয়েছেন ৩ জন। দিল্লিতে আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন মারা গিয়েছেন দিল্লিতে।
করোনার চতুর্থ ওয়েভ মোকাবিলায় টিকাকরণই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন গবেষকরা। সেকারণে করোনা টিকাকরণে জোর দিয়েছে মোদী সরকারও। সব রাজ্যগুলিকে করোনা টিকা করণ সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজর টিকাকরণে সবচেয়ে বেশি অনিহা দেখা দিয়েছে। সেকারণে বুস্টার ডজের টিকরণে সব রাজ্যকেই বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই সঙ্গে শিশুদের করোনা টিকাকরণওজোর দয়া হয়েছে। ১২ বছরর উর্ধ্বে শিশুদের করোনা টিককরণে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ করোনার চতুর্থ ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।