করোনা সংক্রমিত গর্ভবতী মায়ের থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান আক্রান্ত হতে পারে, দাবি আইসিএমআরের
করোনা সংক্রমিত গর্ভবতী মায়ের থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান আক্রান্ত হতে পারে, দাবি আইসিএমআরের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ৩০ এপ্রিলের লকডাউন সে কারণে বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দুরত্বকে হাতিয়ার করেই এই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে সরকার। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে যে করোনা ভাইরাস বা কোভিড–১৯ গর্ভবতী মায়ের মাধ্যমে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানেরও হতে পারে। কিন্তু গর্ভবতী ও সদ্যোজাত শিশুর আক্রান্তের অনুপাত এখনও জানা যায়নি, তা নিয়ে উদ্বেগে আইসিএমআর।
মায়ের থেকে সন্তানের সংক্রমণের আশঙ্কা
ভারতের শীর্ষে থাকা মেডিক্যাল গবেষণাগার কেন্দ্র জানিয়েছেন যে সদ্যোজাত শিশুর জন্মের আগে বা প্রসবের সময় গর্ভবতী মায়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হতে পারে তার মধ্যে। তবে আইসিএমআর এও জানিয়েছেন যে মায়ের স্তন্যদুগ্ধে মারণ ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তাদের হাতে আসেনি।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্দেশিকা জারি
সোমবার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে কোভিড-১৯ মহামারি প্রসঙ্গে আইসিএমআর বলেন, ‘গর্ভবতীর সময় কোভিড-১৯ নিউমোনিয়া হলে তা খুব হাল্কা থাকে এবং সহজেই নিরাময় হয়ে যায় বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে। এটা ছাড়াও কোভিড-১৯ সহ মহিলাদের মধ্যে প্রাক-মেয়াদী জন্মের কেস রিপোর্ট রয়েছে। ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন (মায়ের থেকে শিশুর সংক্রমণ প্রসবের সময় বা গর্ভেই সংক্রমণ হয়) সম্পর্কে এখনও কোনও প্রমাণ সেভাবে পাওয়া যায়নি। কারণ গর্ভবতী ও আক্রান্ত শিশুর অনুপাত এখনও পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি সদ্যোজাত শিশুর কোন সময় বেশি রয়েছে সে বিষয়টিও অজ্ঞাত। জন্মের পর শিশুর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে শিশুর থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত মাকে দূরে রাখা প্রয়োজন হয় এবং মা-শিশু দু'জনেই সুস্থ হয়ে ওঠার পর তবেই শিশুকে মায়ের কোলে দেওয়া যেতে পারে।'
মা ও নবজাতকের রেকর্ড নথিভুক্ত করছে আইসিএমআর
আইসিএমআরের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের যদি হৃদরোগের সমস্যা থাকে তবে সেটা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কিন্তু গবেষণায় জানা গিয়েছে যে করোনা ভাইরাসের জন্য গর্ভপাত বা সময়ের আগে গর্ভাবস্থা এ ধরনের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আইসিএমআর বলেছে, ‘ভাইরাসটি টেরাটোজেনিক বলে বর্তমানে কোনও প্রমাণ নেই। দীর্ঘমেয়াদী তথ্য প্রতীক্ষিত। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বর্তমানে গর্ভাবস্থার চিকিৎসা সমাপ্তির ইঙ্গিত নয়।' আইসিএমআর আরও বলেছে, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহ গর্ভবতী মহিলারা যারা ভর্তি হচ্ছে তাদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ফলাফল সহ মা ও নবজাতকের রেকর্ডগুলি বিশদে সংগ্রহ করা উচিত এবং ভবিষ্যতে বিশ্লেষণের জন্য সংরক্ষণ করা দরকার।'
মুম্বইয়ের উপর করোনার চোখ রাঙানি! ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ধারাভিতে