ভারতে করোনা ভাইরাসের গণ টীকাকরণ কবে থেকে? সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধারের বক্তব্যে কিসের ইঙ্গিত
ভারতে করোনা ভাইরাসের গণ টীকাকরণ কবে থেকে? সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধারের বক্তব্যে কিসের ইঙ্গিত
চলতি বছরের শেষে যে করোনা টীকা হাতে আসবে না তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউের কর্নধার। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই ভারতের জনতার জন্য করোনার টীকা তৈরি হয়ে যাবে। এবং ভারতের হাতে প্রায় ৫০ শতাংশ টীকা থাকবে বলে জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্নধার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অক্সফোর্ডের করোনা টীকা তৈরিতে যোগিতা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
করোনা টীকা তৈরি সেরামের
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা টীকা তৈরি বরাত পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। অ্যাস্ট্রাজেনকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তারা। অনেকটাই পথ এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা এমনই দাবি করেছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের চিফ এগজিকিউটিভ আদর পুনাওয়ালা।
২০২১ সালের মার্চের মধ্যে ভারতে
করোনা টীকা ভারতের সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আরও বেশ কয়েকটা মাস অপেক্ষা করতে হবে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশের সাধারণ মানুষে কাছে করোনা টীকা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আদর। খুব শীঘ্রই ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন করোনা টীকা তৈরি শুরু করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ৫০ শতাংশ করোনা টীকা ভারতের মানুষের জন্য থাকবে। বািকটা ব্রিটেনে যাবে।
মুম্বই-পুণেতে ট্রায়াল শুরু হবে
তিনটি ফেেজ করোনা টীকার হিউম্যান ট্রায়াল হবে ভারতে। ইতিমধ্যেই তার জন্য ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতি চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। মুম্বই এবং পুণেতে শুরু হবে ট্রায়াল রান। আদর পুনাওয়ালা দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের একাধিক হাসপাতাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দিয়েছে। প্রথমে ১০০০ রোগীর উপর পরীক্ষা হবে। সেটা পরে বাড়তে বাড়তে ৫০০০ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কতদিনে অ্যান্টি বডি তৈরি হবে
সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার দাবি করেছেন কোনও রোগের প্রতিষেধক তৈরি করতে হলে কমপক্ষে ২ থেকে ৩টি ডোজ প্রয়োজন হয়। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। দ্বিতীয় ডোজের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হতে ২ মাস সময় তো লাগবেই। যদিও প্রথম ডোজেই কাজ করতে শুরু করে শরীরে। ৯০ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হয় না।