চিনে ভাইরাসের সংক্রমণে আতঙ্ক, বিমানবন্দর ও ভিসা আবেদনের উপর নজর কেন্দ্রের
চিনা ভাইরাস করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নিতে চলেছে কেন্দ্র৷ গত দুই দিনে এই ভাইরাসে নতুন করে আরও ১৩৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে চিনে। এরপরেই ভারতের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি হল৷ পাশাপাশি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের তরফে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা মন্ত্রককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷
দেশের বিমানবন্দরগুলিতে নজরদারি
জানা গিয়েছে রাজধানীসহ মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করতে বলা হয়েছে৷ নতুন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভালোভাবে যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি চিন থেকে ভারতে আসতে চাওয়া মানুষের ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার সময়ই আবেদনকারীর শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। চিন থেকে আসা কোনও বিমানে কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে তবে তা দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে৷
চিনের ইউহান থেকে আসা যাত্রীদের তালিকা চেয়েছে কেন্দ্র
কেন্দ্র জানিয়েছে, চিন ছাড়া ভিন দেশ থেকে আসা সমস্ত বিমানের ক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে৷ পাশাপাশি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর চিনের ইউহান শহর থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বিস্তারিত তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক৷
দূতাবাসগুলিতেও ভাইরাস নিয়ে বার্তা
চিন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলির ভারতীয় দূতাবাসগুলিতেও নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ চিনের বাইরে জাপান ও থাইল্যান্ডেও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর এসেছে৷ এর আগে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা এসএআরএস-এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ভাইরাসটির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের চরিত্রের বিশেষ মিল রয়েছে৷ তাই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস নিয়ে৷ সবমিলিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র৷
দিশেহারা চিন
এদিকে, চিনে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। হুবেই, ইউহানের সীমা পেরিয়ে ভাইরাসের প্রকোপ বেজিংয়েও ছড়িয়ে পড়ছে। রোগীদের একাধিক পরীক্ষায় বারবারই ধরা পড়ছে নিউমোনিয়া। এর বেশি কোনও চিহ্নই রোগীর শরীরে নেই। কিন্তু ভিতরে ভিতরে বাসা বাঁধছে মারণ সংক্রমণ। কীভাবে সংক্রমণ হচ্ছে, তা বুঝতে এখনও ব্যর্থ গবেষকরা।