দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষ ছুঁতে চলেছে , দৈনিক মৃত্যু দেড় হাজার পার করল
দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষ ছুঁতে চলেছে প্রায়, দৈনিক মৃত্যু দেড় হাজার পার করল
দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৩,৮১০ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দেড় কোটিরও বেশি। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১৬১৯ জন। মোট মৃতের সংখ্যা েবড়ে হয়েছে ১,৭৮,৭৯৬ জন।
বিহারে জারি নাইট কার্ফু
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে বিহারও নাইট কার্ফুর পথে হাঁটতে শুরু করেছে। আজ রাত থেকেই বিহারে নাইট কার্ফু জারির কথা ঘোষণা করেছে নীতীশ কুমার সরকার। রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যনত জারি থাকবে নাইট কার্ফু। করোনা সংক্রমণ যেসব রাজ্য ভয় দেখাতে শুরু করেছে সেই তালিকায় রয়েছে বিহারও। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দিল্লি, পাঞ্চাব, কেরলের মতো বিহারেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না।
রেকর্ড দৈনিক করোনা সংক্রমণ
প্রতিদিনই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণন নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২,৭৩, ৮১০ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৫০,৬১,৯১৯ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৯,২৯,৩২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৬১৯ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১,৭৮,৭৬৯ জন। এখনও পর্যন্ত ১২,৩৮,৫২,৫৬৬ জনের করোনা টিকাকরণ হয়েছে দেশে।
গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেছেন রাজ্যগুলির অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় গ্রিন করিডর করে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেনলওয়ে। তাতে করেই রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হবে। করোনার কারণে দেশে তীব্র অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধিকারিকদের অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালে যাতে রোগীরা বেড পান সেটা নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সংকটে রাজধানী দিল্লি
করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। অক্সিজেন সংকটের পাশাপাশি হাসপাতালে বেডসংকট তৈরি হয়েছে। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় আজ লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।