একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ দেশে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৫৮,০৯৭ জন
একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ দেশে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৫৮,০৯৭ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেেশ। এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছুঁই ছুঁই। গতকাল ৩৭ হাজারের কিছু বেশি ছিল করোনা সংক্রমণ। একদিনে সেটা বেড়ে হয়ে িগয়েছে ৫৮,০৯৭ জন। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে কি গতিতে বাড়ছে দেশের করোনা সংক্রমণ। গতকালই মুম্বইয়ের মেয়র সতর্ক করেছিলেন বাণিজ্যনগরীতে করোনা সংক্রমণ সুনামির মত আছড়ে পড়বে। এবার গোটা দেশেই সেটা েদখা যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ফের মারাত্মক আকার নিয়েছে দিনে ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছে করোনা সংক্রমণ। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৫৩৪ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১২৪ জন। সেটা হঠাৎ করে বেড়ে ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রীতিমত ভয় ধরাতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা দেশেই শুরু হয়ে গিয়েছে করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভে। দৈনিক পজিটিভিটির রেড বেড়ে হয়েছে ৪.১৮ শতাংশ। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,১৪,০০৪ জন। মত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৩২,৫৫১ জন।
করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার পরেই দিল্লি। গতকালই মুম্বইয়ের মেয়র দাবি করেছেন সেখানে করোনা সংক্রমণ সুনামির মত আছড়ে পড়বে। তবে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে মুম্বইয়ের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওমিক্রন সংক্রমণেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। মুম্বইয়ে একের পর এক মন্ত্রী থেকে বলিউড তারকা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। সোনু নিগম এবং তাঁর পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জন আব্রাহাম ও তাঁর স্ত্রী। কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বালাজি টেলিফিল্মসের কর্নধার একতা কাপুরও। মহারাষ্ট্র জুড়ে করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে চলছে কার্ফু।
মহারাষ্ট্রের পরেই করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। রাজধানী দিল্লিতে একাধিক করোনা বিধি জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ান নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। মাস্ক ছাড়া বাসে এবং মেট্রোয় সফরে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহান্তে কার্ফু জারি থাকবে। গতকাল থেকে কর্নাটক সরকারও সপ্তাহান্তে লকডাউন ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে কার্ফু। দোকানবাজার, ট্রেন-বাস সব বন্ধ থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে একাধিক চিকিৎসক ও নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে পরিষেবা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।