দেশে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও
দেশে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও
দুর্গাপুজোর আগে স্বস্তির খবর। অনেকটাই কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমি হয়েছেন ২০,৭৯৯ জন। করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৮০ জন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬,৭১৮ জন। করোনার থার্ড ওয়েভের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে অক্টোবর মাসেই। এদিকে দৈনিক সংক্রমণে পতন আশাজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ মাঝে বাড়লেও ফের কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ২০ হাজারের ঘরে ঘোরা ফেরা করছে। গত শনিবার করোনা সংক্রমণে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও অনেকটাই কমেছিল। ১৯৭ দিনে রেকর্ড পতন হয়েছিল করোনা সংক্রমিত রোগীর। গত ২০০ দিনে সর্বনিম্ন করোনা সংক্রমণে রোগী মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও কমছে। দেশে এখন মোট করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮,৪৮,৯৯৭ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,৬৮,৪৫৮ জন। উৎসবের মরশুমে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় আশার আলো দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনা টিকাকরণে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকদিন আগেই তিনি বলেছেন ভারতে করোনা টিকা তৈরি হয়েছিল বলেই এত দ্রুত দেশে টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯০,৭৯,৩২, ৮৬১ জন করোনা টিকা পেয়েছেন। গোটা দেশে ২৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে ৬৭ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার একটি করে ডোজ পেয়েছেন। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে করোনা টিকাকরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যে একাধিক করোনা টিকার অনুমোদন মিলেছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন ছাড়াও ফাইজার এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের মত করোনা টিকার অনুমদন দিতে চলেছে মোদীসরকার।
শিশুদের করোনা টিকার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফাইজারের করোনা টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হয়েছে। করোনার থার্ড ওয়েভে শিশুদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। সেকারণে শিশুদের করোনা টিকা দ্রুত বের করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিনের শিশুদের করোনা টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। ফাইডার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনা টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এখন কেবল অনুমোদনের অপেক্ষা। নভেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের করোনা টিকা বাজারে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উৎসবের মরশুমে যাতে করোনা সংক্রমণ না বাড়ে সেকারণে সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্র। মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পুজোর চারদিন নাইট কার্ফুতে ছাড় ঘোষণা করা হলেও কলকাতা হাইকোর্ট কিন্তু পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রির নির্দেশিকা জারি করেেছ।