ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত ৪৫ হাজার ৮৩ জন, একনজরে বিশেষ কিছু পরিসংখ্যান
দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৫৩ শতাংশ , এমনই তথ্য রয়েছে এদিন পেশ করা দেশের করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে। এদিকে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,০৮৩ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেস লোড রয়েছে, ৩,৬৮৫৫৮ জনের। করোনার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৬০ জনের এদিনের কোভিড কেস লোডের রিপোর্টে এমনই তথ্য় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সামনেই উৎসবের মরশুম। তার আগে যেভাবে ৪০ হাজারের উপর প্রায় গত ৩ থেকে ৪ দিনের আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ,তাতে রীতিমতো উদ্বেগে দেশবাসী। এদিকে, রয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রমরমার মধ্যে ফের একবার কোভিড ওয়েভের সম্ভাবনা। সেই জায়গা থেকে দেশের এই করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে বহু জনই।
এদিকে,
করোনা
পরিস্থিতি
নিয়ে
বারবার
দেশকে
উদ্বেগে
রাখছে
কেরলের
অবস্থা।
এনমের
পর
থেকেই
আরও
কঠিন
অবস্থার
মধ্যে
রয়েছে
কেরল।
রাতের
কার্ফু
সেখানে
লাগু
করা
হয়েছে।
এর
আগে
সেই
রাজ্যে
উঠে
গিয়েছিল
রবিবারের
লকডাউন।
তবে
করোনার
বাড়বাড়ন্তের
জেরে
রীতিমতো
খারাপ
অবস্থা
কেরলে।
ফলে
উঠিয়ে
দেওয়া
হয়েছে
কেরলের
করোনা
লকডাউন।
প্রায়
প্রতিজিনই
কেরলে
২০
হাজারের
উপর
রয়ে
যাচ্ছে
করোনার
সংক্রমণ।
শনিবারের
রিপোর্টেও
দেখা
গিয়েছে
যে,
কেরলে
৩০
হাজারের
বেশি
রয়েছে
দৈনিক
সংক্রমণ।
এদিকে,
শুধু
কেরলই
নয়।
কর্ণাটকেও
বেশ
খানিকটা
বিধ্বস্ত
পরিস্থিতি
করোনার
জেরে।
সেরাজ্যেও
একাধিক
সতর্কতা
মূলক
বন্দোবস্ত
নেওয়া
হয়েছে
করোনার
করুণ
পরিস্থিতিতে।
এদিকে,
তৃতীয়
স্রোতের
আশঙ্কা
যেখানে
দেশে
হু
হু
করে
বাড়ছে,
সেখানে
কেরলের
পরিস্থিতি
নিয়ে
সতর্কবার্তা
জারি
করেছে
কেন্দ্র।
এই
অবস্থায়
দেশেও
সর্বমোট
করোনা
আক্রান্তের
সংখ্যা
হু
হু
করে
বেড়ে
গিয়েছে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে গতকালের তুলনায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যদি গত ২ দিনের তুলনায় তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে গতকালের তুলনায় দেশে সামান্য হারে নেমেছে করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,৭৫৯ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৫৯,৭৭৫ জন। সেই জায়গা থেকে আজকের রিপোর্টে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সমান্য কম। দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,০৮৩ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেস লোড রয়েছে, ৩,৬৮৫৫৮ জনের। মূলত, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ৩১ হাজার ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে যে, করোনার জেরে দেশে পরিস্থিতি ঠিক কোন পর্যায়ে যেতে পারে সামনে উৎসবের মরশুমে? যেখানে করোনার দুটি টিকার ডোজ নিয়েও বিশ্বে বহু জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে সেখানে বারবার বুস্টার ডোজের প্রসঙ্গ উঠছে করোনা পরিস্থতিতিতে। এদিকে, দেশেও করোনা টিকা নিয়ে অনেকেই ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে বারবার কেন্দ্রের তরফে সতর্কতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় যেখানে কেরলে ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছে, সেখানে গোটা দেশে ৪৬০ জন শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢোলে পড়েন। প্রসঙ্গত, এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে দেশ।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মাঝেই রয়েছে জন্মাষ্টমী ও গণেশ চতুর্থীর উৎসব। এই উৎসব ঘিরে গোটা মহারাষ্ট্র থেকে তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকে রীতিমতো উৎসবের মরশুম শুরু হয়। এদিকে উদ্ধব সরকার সাফ জানিয়েছে যে জন্মাষ্টমীতে মহারাষ্ট্রে কোনও মতেই দহি হান্ডি উৎসব পালিত হবে না। এদিকে, কেন্দ্রের তরফেও এসে গিয়েছে সতর্কবাণী। কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে যে কিছুতেই দেশে করোনা পরিস্থিতিতে কোনও রকমের বিধি লঙ্ঘন চলবে না। এদিকে, কেরলে দেখা গিয়েছে কার্যত লকডাউনের পরিস্থিতি যেদিন থেকে শিথিল হয়েছে করোনা সংক্রমণের হার হু হুকরে বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলার রাজ্যসরকার সাফ জানিয়েছে যে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চববে কার্যত লকডাউন। তা ছাড়াও পুজোর কেনাকাটার সময় যদি মাস্ক না পরে করোনা বিধি কেউ লঙ্ঘন করেন, তাহলে তপুরসভা কঠোর হতে পারে। এদিকে, ক্রমাগত ডেল্টা ভাইরাসের প্রবল আতঙ্কের মাঝে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে গোটা দেশ।