দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৭,৪৯৫ জন, ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে বাড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা। তারই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৪৯৫ জন। সুস্থতার সংখ্যা ৬,৯৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৪৩৪ জন। দেশে ফের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে ওমিক্রন ভ্যারিেয়ন্টের সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দেশে ধীরেধীরে বাড়তে শুরু করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ২ ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দেশে এখন ওমিক্রনআক্রান্তের সংখ্যা ২৩৬ জন তারমধ্যে আবার ১০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এবং বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওমিক্রন আক্রান্ত কেউই সেভাবে অসুস্থ হচ্ছেন না। বাড়িতে থেকেই তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এতেই কিছুটা হলেও আশর আলো দেখছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে গবেষকরা দাবি করেছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকেও ৩ গুণ বেশি সংক্রামক। কাজেই দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও সেটা সেটার মারণ ক্ষমতা ডেল্টার মত নয়। কাজেই এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন গবেষকরা। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যেন ওমিক্রনকে কেউ হালকা ভাবে না নেন। এদিকে গবেষকরা সতর্ক করেছেন, এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরেই ভারতে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ আসতে পারে। সেকারণেই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে বড়দিনের উৎসবে রাশ টেনেছে মোদী সরকার। সব রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
দেশে করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণও কমের দিকেই আছে। কিন্তু তাতে নিশ্চিন্ত হলে হবে না। ওমিক্রন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশে এখন করোনা ভাইরাসে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭৮,২৯১। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪,৭৮,৭৫৯ জন। করোনা টিকাকরণ হয়েছে ১,৩৯,৬৯,৭৬,৭৭৪ জনের। কাজেই করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চলছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।এই নিয়ে মোদী সরকার তৎপর হয়েছে।
গতকালই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে একাধিক নির্দেশিকা জারি করতে বলা হয়েছে। নাইট কার্ফু কড়া করতে বলা হয়েছে। বড়দিনের উৎসবে রাশ টানতে জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বলা হয়েছে েযন ১০০ জনের জমায়েতের সংখ্যা কমিয়ে ৫০ করে দেওয়া হয়। সেই মত একাধিক রাজ্য করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড়দিনের উৎসবে রাশ টানতে শুরু করেছে। রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।তার পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। কন্টেনমেন্ট জোন করে যেন পরিস্থিতি সামাল দেয় রাজ্যগুলি তার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যোই একাধিক রাজ্য বড়দিনের উৎসবে রাশ টেনেছে। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।