দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষ পার করল, বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও
দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষ পার করল, বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৭,৫৩২ জন। গতকালের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৪৯১ জন। প্রায় ৫০০ ছুঁই ছুঁই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। তবে বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,২৩,৯৯০ জন।
করোনা
সংক্রমণে
পজিটিভিটি
রেট
অনেকটাই
কমেছে।
দেশে
এখন
পজিটিভিটি
রট
১৬.৪১
শতাংশ।
সেই
সঙ্গে
অনেকটাই
কমেছে
অ্যাক্টিভ
রোগীর
সংখ্যাও।
দেশে
অ্যাক্টিভ
রোগীর
সংখ্যা
এখন
১৯,২৪,০৫১
জন।
সেই
সঙ্গে
পাল্লা
দিয়ে
বাড়ছে
ওমিক্রন
আক্রান্তের
সংখ্যা।
দেশে
ওমিক্রন
আক্রান্তের
সংখ্যা
বেড়ে
হয়ে
গিয়েছে
৯২৮৭
জন।
আর
কয়েক
ঘণ্টার
মধ্যেই
হয়তো
১০
হাজার
ছুয়ে
ফেলবে
দেশে
ওমিক্রন
আক্রান্তের
সংক্যা।
গতকালের
চেয়ে
২,৬৩
শতাংশ
বেড়েছে
ওমিক্রন
আক্রান্তের
সংখ্যা।
এদিকে গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সব রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা বাড়াতে হবে। যদিও কলকাতা সহ একাধিক মেট্রো শহরে দৈনিক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সামান্য কমেছে। গতকাল ৭০ হাজার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিকে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মিজোরামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,৪৪৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষা। দিল্লিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। দিনে যাতে ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার পরীক্ষা করানো যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ ফের হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। ফ্রান্স এবং জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সেকারণেই গতকাল কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহণমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাইরের দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।