ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়াল
ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়াল
তেরো হাজার পার করে গেল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গতকালের চেয়ে ১৭৯৭ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। কাজেই বেশ ভয় ধরাচ্ছে দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটকে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তাই নিয়েই উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
১৩ হাজারের গোন্ডি পেরিয়ে ছুটছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা একাধিক রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৬৫ জন। একই ভাবে কেরলেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণের এই রাজ্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছন ৩১৬২ জন। কেরল, মারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্ণাটক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন ৬৩৪ জন।
বিভিন্ন রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৫,০৪৫ জন। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২৩ জন। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৪১৪৮ জন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় সব রাজ্যকেই সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দক্ষিেনর রাজ্য তামিল নাড়ুতেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৯ জন।
শিশুদের করোনা টিকাকরণ নিয়ে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনের টিকা নিরাপদ বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক। যদিও এখনও ড্রাগ কন্ট্রোলারের পক্ষ থেকে তার অনুমোদন মেলেনি। আমেরিকা ইতি মধ্যেই ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের করোনা টিকার অনুমোদন দিয়ে ফেলেছে। করোনা ভাইরােসর সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি ছড়াতে শুরু করেছে। সেকারণে শিশুদের বেশি করে নিরাপদে রাখা জরুির বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তাই দ্রুত শিশুদের টিকাকরণে জোর দিয়েছে সব দেশ। ভারতও তার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
গত ১ সপ্তাহের মধ্যে ভারতর বিভিন্ন রাজ্য করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গবেষকরা আগেই দাবি করেছিলেন যে জুন মাসে দেশে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ওয়েভ থাবা বসাবে। দেশের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মোদী সরকার এই নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে। সব রাজ্যগুলিকে তারা সতর্কও করেছে।