১০৯ দিনে প্রথম দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১০,০০০ পার করল
১০৯ দিনে প্রথম দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১০,০০০ পার করল
গত কােলর চেয়ে আরও বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২,২১৩ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৮,৬৪১ জন। ১০৯ দিনে এই প্রথম দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল।
ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। রাজ্যগুলিতও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণের গ্রাফ হু হু করে বাড়ছে। রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর আগেও করোনা সংক্রমণের তিন দফার এই দুই জায়গাতই সর্বাধিক সংক্রমণ হয়েছিল। এবারও সবার আগে দেশের দুই বড় শহরেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ১১ জন। দৈনিক পজিটিভিটির হার ২.৩৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৬২৪ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৮,২১৬ জন। বুধবার সংখ্যাটা ছিল ৮,৮২২ জন। প্রায় ৯ হাজার ছুঁই ছুঁই।
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০২৪ জন। একদিনে ৩৬ শতাংশ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট B.A 5 সাব ভ্যারিয়েন্টে নতুন করে চার জন সংক্রমিত হয়েছেন। মুম্বই শহরের বাইরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে মহারাষ্ট্র সরকার। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের সব ঠাণে, নবি মুম্বই এবং পুণেতে করোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েেছ। করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে এই সব এলাকায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরীক্ষা এবং িটকাকরণে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭৫ জন। গতকাল ১১১৮ জন ছিলেন করোনা আক্রান্ত। একদিনে অনেকটাই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা সংক্রমণে কেউ মারা যান নি। তবে পজিটিভিটি রেট লাফিয়ে বাড়ছে। দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট এখন ৭.০১ শতাংশ। দিল্লিতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার পার করে গিয়েছে।