৩০ হাজারের নীচে নামল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট কমল ২.২৩ শতাংশে
৩০ হাজারের নীচে নামল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট কমল ২.২৩ শতাংশে
দেশের দৈিনক করোনা সংক্রমণে বিপুল পতন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭,৪০৯ জন। কমেছে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৩৪৭ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট নেমে এসেছে ২.২৩ শতাংশে।
গতকালের চেয়ে আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গতকাল ৪০ হাজারের নীচে নেমে দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল ৩৪,১১৩। সেই সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমে গিয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট যে দেশের করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভের ধাক্কা কমতে শুরু করেছে। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও অনেকটা কমে গিয়েছে। দেশে এখন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪,২৩,১২৭ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ২.২৩ শতাংশে।
মুম্বইয়ে ওমিক্রন সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছিল। ৯৫টি সোয়াব সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল জেনম সিকোয়েন্সের জন্য তার পরেই ওমিক্রন সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে দেশে। এবং ওমিক্রন সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছিল গোটা দেশে। থার্ড ওয়েভ শুরু হয়েছিল গোটা দেশে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ শুরু হয়। তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
একাধিক রাজ্যে করোনা বিধি শিথিল করা হয়েছে। কলকাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব প্রাথমিক এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসার কারণেই এই সদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোন নিয়মে খোলা হবে স্কুল তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য সরকার। সেই মতই শিশুদের স্কুল খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। পশ্চিমবঙ্গে এতদিন বড়দের স্কুল খোলা হলেও ছোটদের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। করোনা সংক্রমের থার্ড ওয়েভ কমে আসায় অনেকটাই শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সব প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ কমে এলেও বাইরের একাধিক দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিশেষ করে ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। ব্রিটেন প্রথমে মাস্ক ফ্রি করার কথা ঘোষণা করলেও পরে সেই নির্দেশিকা কার্যকর করা স্থগিত রেখেছে। তবে লকডাউনের পথে আর কোনও েদশই হাঁটবে না সেটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ করোনা মহামারীর কারণে গত ২ বছরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি বিপুল ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। যার জেরে মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।