একদিনে সুস্থ ৯০ হাজারের বেশি, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৩৫ হাজারের নীচে
একদিনে সুস্থ ৯০ হাজারের বেশি, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৩৫ হাজারের নীচে
দেশের দৈিনক করোনা সংক্রমণে বিপুল পতন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪,১১৩ জন। কমেছে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৩৪৬ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট নেমে এসেছে ৩.১৯ শতাংশে। বেড়েছে করোনা সংক্রমণে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও।
গতকাল দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। ৪৪ হাহারের কিছু বশি ছিল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। েসটা এক ধাক্কায় নেমে িগয়েছে অনেকটাই। এক ধক্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩৪,১১৩-তে নেমে এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহে যাকে বলা যায় বিপুল পতন দৈনিক করোনা সংক্রমণে। সেই সঙ্গে কমেছে দেশের পজিটিভিটি রেটও। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও কমেছে। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪,৭৮,৮৮২ জন। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯১,৯৩০ জন। অনেকটাই কমেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সুস্থতার সংখ্যা।
একাধিক রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করার কারণেই কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৫০২ জন। গতকালের চেয়ে ৮৫০ জন কম সংক্রমিত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। হিসেব করলে অনেকটাই কম সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৭ জন। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছিলেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪৫,৯০৫ জন।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কেরল, কর্নাটকেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এই দুই রাজ্যেই একাধিক করোনা বিধি শিথিল করা হয়েছে। কর্নাটকে আগামী সপ্তাহ থেকেই খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ। কেরল ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সব খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আজ তিন রাজ্যে চলছে বিধানসভা ভোট গ্রহন। উত্তর প্রদেশে ৫৫টি কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে। অন্যদিকে গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে চলছে ভোট গ্রহন।
গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী গ্রাফ দেখার পর মিটিং মিছিলের ছাড় ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আজই পাঞ্জাবে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও প্রচার করবেন কানপুরে। করোনা সংক্রমণ কমে আসার কারণেই এই প্রচারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার পরের দফার নির্বাচন গুলিতে পুরোদমে প্রচারে ঝাঁপাবে সব রাজনৈতিক দলগুলি। সেকারণেই আজ থেকেই প্রচারে শান দিতে শুরু করেছে বিজেপি।