ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, একদিনে মৃত্যু ২০২ জনের
ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, একদিনে মৃত্যু ২০২ জনের
ভারতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই স্বস্তি দিল দেশের দৈনিক করোনা আপডেট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৫০ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২০২ জন। এদিকে একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ।
এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ক্রমশ থাবা চওড়া করছে ভারতে। কর্নাটক, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের গোণ্ডি পেরিয়ে ওমিক্রন ঢুকে পড়েছে কেরলে। দেশে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩৮ জন। কর্নাটকে প্রথম ধরা পড়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার মধ্যে একজন চিকিৎসকও ছিলেন। তাঁেদর সংস্পর্শে আসা রাজস্থানে ৯ জন করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে আবার গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে ১২ জন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ২ দিন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। অন্যদিকে আবার গুজরাতে নতুন করে ওমিক্রনআক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। এবার কেরলেও ২ ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা দাবি করেছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। তাঁরা দাবি করেছেন যাঁরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের উপসর্গ অত্যন্ত মৃদু। অর্থাৎ তেমন কোনও উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না তাঁদের শরীরে। এদিকে আবার গুজরাতে ওক শিশু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে আতঙ্ক বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বেশি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের শিকার হবেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই নিয়ে সকলকে সতর্কও করেছিলেন তাঁরা।
ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় বাণিজ্যিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে কেন্দ্র। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধন্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওমিক্রন সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেকারণে আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইজরায়েন, বেলজিয়াম সহ ১২টি দেশের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই সব দেশ থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে তারপরে তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর ছাড়পত্র পাচ্ছেন অর্থাৎ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে বিমানবন্দর গুলিতে।এখন এই নির্দেশিকা সব আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের ক্ষেত্রেই বহাল করা হয়েছে।