দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১.৩০ লক্ষ ছাড়াল, করোনায় দৈনিক মৃত্যু ৮০০ ছুঁই ছুঁই
দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১.৩০ লক্ষ ছাড়াল, করোনায় দৈনিক মৃত্যু ৮০০ ছুঁই ছুঁই
দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ফের উর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১,৩১.৯৬৮ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩০, ৬০,৫৪২ জন। অর্থাৎ দেড় কোটির দিকে দ্রুত এগোতে শুরু করেছে দেশের মোট করোনা সংক্রমণ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯,৭৯,৬০৮ জন। সুস্থতার সংখ্যার সঙ্গে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার ফারাক ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৭৮০ জন।
লকডাউন নয়
গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার লকডাউনের আশঙ্কা খারিজ করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভালমতো প্রস্তুত। কাজেই আর লকডাউনের পথে হাঁটা হবে না। করোনা পরীক্ষা বাড়িয়ে এবং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন করে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে রাজ্যগুলিকে তার সঙ্গে করোনা টিকাকরণেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
টিকা উৎসব পালন
করোনা মোকাবিলায় এবং ১০০ শতাংশ করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন করতে িটকা উৎসব পালিত হবে গোটা দেশে। গতকালই সেকথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হবে করোনা টিকা উৎসব। ১৪ এপ্রিল বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্মদিবস উদযাপন হবে টিকা উৎসবের মধ্য দিয়ে। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে সকলের করোনা টিকাকরণে জোর দিেয়ছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল প্রকাশ জাভড়েকর অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্র সরকার ৫ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন নষ্ট করেছে কেবল মাত্র পরিকল্পনার অভাবে।
লকডাউনের পথে একাধিক রাজ্যে
করোনা সংক্রমণে শীর্ষে থাকা ১০টি রাজ্য নতুন করে লকডাউন ও নাইট কার্ফুর পথ বেছে নিয়েছে। আজ থেকে বেঙ্গালুরু সহ মহারাষ্ট্রের ৬টি শহরে আংশিক লকডাউন শুরু হয়েগিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ। ছত্তিশগড়ও লকডাউন শুরু করেছে। একই ভাবে দিল্লি নাইট কার্ফু জারি করেছে। মহারাষ্ট্রের মুম্বই নাগপুর, পুণেতে নাইট কার্ফু জারি রয়েছে। সংক্রমণ রুখতে এখনই গোটা দেশে লকডাউন জারি হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পাঞ্চাবের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ
করোনা সংক্রমণ মহারাষ্ট্রের মতোই পাঞ্জাবে উদ্বেগজনক জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ৮০ শতাংশ সংক্রমণ ব্রিটেন স্ট্রেন থেকে ছড়িয়েছে পাঞ্জাবে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।সেই সঙ্গে কৃষক বিক্ষোভের জমায়েত ও ভোটকেও দায়ীকরা হয়েছে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে। বাংলাতেও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।