ভারতীয়দের উপর করোনার প্রভাব বুঝতে দেশব্যাপী সমীক্ষার ভাবনা আইসিএমআরের
ভারতীয়দের উপর করোনার প্রভাব বুঝতে দেশব্যাপী সমীক্ষার ভাবনা আইসিএমআরের
মে মাসের সমীক্ষার পর আবারও একটি সমীক্ষা করতে চলেছে আইসিএমআর। বৃহস্পতিবার আইসিএমআরের পক্ষে জানান হয়েছে, ভারতীয়দের উপর করোনার প্রভাব সম্বন্ধে গবেষণার উদ্দেশ্যেই সারা ভারতব্যাপী এই সমীক্ষা করা হবে। আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মূলত 'সেরো সার্ভে'-এর আকারেই এই সমীক্ষা করা হবে।
কি এই 'সেরো সার্ভে'?
দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর পক্ষ থেকে মানুষের রক্তের সিরাম নিয়ে তার করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতার তুল্যমূল্য বিচার করা হয় এই পদ্ধতির মাধ্যমে। করোনা আবহে জাতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষ পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজেশ ভূষণ। তিনি বৃহস্পতিবার জানান, "ইতিপূর্বে আইসিএমআর যে সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার লক্ষ্য ছিল এপ্রিলের মধ্য সময়ে করোনার প্রভাব সম্বন্ধে অবহিত হওয়া। যেহেতু এইসকল বিজ্ঞান সম্বন্ধনীয় গবেষণার ফলাফলে উপনীত হতে বেশ সময় লাগে, তাই সিদ্ধান্তে আসতে এখনও সময়ের দরকার।" তিনি আরও জানিয়েছেন, "এইসমস্ত জটিল সমীক্ষার ফলাফল সকলের সামনে আনতে গেলে তার তথ্য নির্ভুল হওয়াটা দরকারি, তাই সব গবেষণা ঠিকঠাক মিটলে তবেই ফলাফল সকলকে জানান হবে।"
দিল্লিতে এনসিডিসির সমীক্ষা
ইতিপূর্বে সেরো সমীক্ষার প্রথম ধাপ হিসেবে ৮৩টি পরীক্ষাধীন জেলার মধ্যে ৬৫টি জেলার তথ্য সংশ্লেষ করে আইসিএমআর জানায়, এই সমীক্ষাধীন জনসংখ্যার প্রায় ০.৭৩% পূর্বে কোনো না কোনো ভাবে এসএআরএস-সিওভি-২-এর সংস্পর্শে এসেছে। রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, "দিল্লিতে সেরো সমীক্ষা চালিয়েছিল জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রক(এনসিডিসি)। ২৭শে জুন থেকে ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে ১১টি জেলা থেকে প্রায় ২২,০০০ নমুনা সংগ্রহ করে এনসিডিসি।
মধ্য-এপ্রিলের সমীক্ষার মতোই ফের একটি সমীক্ষার ভাবনা
সমীক্ষার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, "মধ্য-এপ্রিলের সংক্রমণের বিষয়ে আইসিএমআরের গবেষকরা যেরকম সমীক্ষা চালিয়েছিল, এইবারও তারা এমনই এক প্যান-ইন্ডিয়া সেরো সমীক্ষার কথা ভাবছে।" আইসিএমআরের এক আধিকারিকের কথায়, দুই ভাগে এই সেরো সমীক্ষা সংঘটিত হয়। প্রথম ভাগে মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ এসএআরএস-সিওভি-২-তে আক্রান্ত হয়েছেন তা নির্ধারণ করা হয় এবং দ্বিতীয়ভাগে হটস্পট শহরের কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলিতে কতজন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তা বিচার করা হয়।
রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে ১৫ দিনের কাছাকাছি
আইসিএমআরের বিবৃতি অনুযায়ী জানা যায়, কোনও রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী দেওয়াল হিসেবে শরীরে আইজিজি অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ দিন। ফলত এই ১৫ দিনে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্র নিয়েও চিন্তিত গবেষকরা। এদিকে বৃহস্পতিবার করোনায় রেকর্ড সংক্রামিত হল ভারতে। ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, একদিনে ২৪,৮৭৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে ভারতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭,৬৭,২৯৬ জন। বৃহস্পতিবার নতুন করে ৪৮৭ জন মারা যাওয়ায় ভারতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছুঁল ২১,১২৯ জন।
একদিনে রেকর্ড, প্রায় ২৭ হাজার করোনা আক্রান্ত ভারতে! ৮ লক্ষের অকাঙ্খিত মাইলস্টোনের দোরগোড়ায় দেশ!