দেশে করোনা প্রকোপ চরমে উঠবে মে-এর মাঝামাঝিতে! লকডাউনই কি বাঁচার উপায়?
ভারতে একের পর এক মানুষের প্রাণ নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। এদেশে করোনার শিকার মোট ৪৩৭, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩,৩৮৭। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেশের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ
দেশে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।
সংক্রমণ এখনও তার চরমে পৌঁছায়নি ভারতে
এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে করোনা সংক্রমণ এখনও তার চরমে পৌঁছায়নি ভারতে। তা ভারতে করোনা সংক্রমণের চরম পর্যায় দেখা যাবে মে মাসের মাঝামাঝি। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, লকডাউনের জেরে এই প্রকোপ সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে হয়ত যাবে না। তবে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী আরও বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ।
লকডাউন ভঙ্গকারীদের উপরে কড়া নজর কেন্দ্রের
লকডাউন ভঙ্গকারীদের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রক। যথাযথভাবে লকডাউন মেনে চলার উপরেও জোর দেওয়া হয় এদিনের সম্মেলনে। গুজরাতের সুরাটের কিছু অংশে বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে জারি হতে চলেছে কারফিউ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র
দেশের মধ্যে করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যে সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি। এর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বই। তারপরেই সব থেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে সেরাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পুনে। মহারাষ্ট্রে প্রায় ৩ হাজার ২০০ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত।
মুম্বইতে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা
এদিকে মুম্বইতে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে বাণিজ্যনগরীতেই। সেখানে ২ হাজারের বেশি জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৪ জনের।
সংক্রমণ ছড়ানোর উপযুক্ত স্থান : ধারাভি
এছাড়া মুম্বইয়ের সব থেকে বড় আতঙ্কের কারণ এখন ধারাভিতে করোনার সংক্রমণ। ধীরে ধীরে এবার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে। এর জেরে সেখানে মোট ৫৫ জন এখনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৭ জন। এই পরিস্থিতিতে ১০ লক্ষের বাসস্থান এই বস্তিতে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবং তা হলে মুম্বই তো বটেই, গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সিল করে দেওয়া হয়েছে ধারাভি
সূত্রের খবর, ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই অঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই বস্তি এলাকার পুরোটাই "সিল" করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ওই বস্তিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ, ফলে দ্রুত হারে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।