করোনা ধাক্কায় কুপোকাত গ্রামীণ অর্থনীতি, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি জেলা, ভয়াবহ তথ্য এসবিআই-র
গত প্রায় মাস থেকেই গোটা দেশেই লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যেখানে বড় ভূমিকা রাখছে গ্রামাঞ্চলের করোনা সংক্রমণও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গ্রামীণ এলাকার করোনা পরিস্থিতিক উন্নতি না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি বড়সড় ধাক্কা খাবে।

কি বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়ার রিপোর্ট ?
অগাস্টের শুরুতে যেখানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের আশেপাশে ছিল বর্তমানে তা বেড়ে ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে যাচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপরেও। এদিকে সম্প্রতি দেশের আর্থিক মন্দা ও গ্রামীন অর্থনীতির উপর একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়া। যেখানেই স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও বড়সড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।

৫০ টি জেলার অবস্থা সবথেকে খারাপ
করোনা সংক্রমণের জেরে এই মুহূর্তে দেশের মোট জেলাগুলির মধ্যে ৫০টি জেলার অবস্থা সবথেকে খারাপ বলে জানা যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চরম সঙ্কটের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের জেরে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে এই জেলাগুলির অবস্থা। একাধিক জায়গাতেই স্থানীয় ভিত্তিতে জারি রয়েছে লকডাউনও।

২৬টি গ্রামীণ জেলার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে
সর্বাধিক করোনা বিধ্বস্ত এই জেলাগুলির মধ্যে ২৬টিই গ্রামীণ এলাকায় বলে খবর। বর্তমানে এসবিআই রিসার্চ বলেছে এই জেলাগুলির মধ্যে চারটি জেলা স্বতন্ত্রভাবে তাদের রাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। এদিকে করোনা ধাক্কায় আর্থিক মন্দার জেরে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন গ্রামাঞ্চলগুলিতেও।

নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না গ্রামাঞ্চলে
এদিকে সদ্য প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটারিং ইণ্ডিয়ান ইকোনমিক বা সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমেও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে মিলছে না পর্যাপ্ত কাজের খোঁজ। সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে জুলাইয়ের থেকে অগাস্টে দেশের গ্রামাঞ্চলগুলিতে ক্রমেই বেড়েছে বেকারত্বের পরিমাণ। অগাস্টে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭.৫ শতাংশ। জুলাইয়ে যা ছিল ৬.৬৬ শতাংশের আশেপাশে।

করোনা সঙ্কটেই অযোধ্যাকে ধর্মীয় গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলতে ২০০০ কোটি টাকা খরচ করবে যোগী রাজ্য