করোনা মহামারী ভারতে শীর্ষে পৌঁছেছে! জনসংখ্যার কত শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি, জানাল সরকারি প্যানেল
ভারত সেপ্টেম্বরেই করোনা মহামারীর শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর থেকে তা অনেকটাই মালভূমির মতো। গাণিতিক এবং সংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমনটাই জানিয়েছে, বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি সরক
ভারত সেপ্টেম্বরেই করোনা ভাইরাস মহামারীর শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর থেকে তা অনেকটাই মালভূমির মতো। গাণিতিক এবং সংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমনটাই জানিয়েছে, বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি সরকারি প্যানেল। এই প্যানেলের আরও দাবি ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি শেষ নাগাদ এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। তবে তার সঙ্গে শর্তও আছে, যদি সব প্রোটোকল সঠিকভাবে মানা হয়, এবং নিয়মে আর কোনও কিছু যদি শিথিল না করা হয়।
মহামারী শীর্ষে পৌঁছেছে সেপ্টেম্বরে
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত প্যানেল বলছে, দেশে মহামারী শীর্ষে পৌঁছেছিল সেপ্টেম্বরে। এখন তা অনেকটাই মালভূমির মতো করে চলছে।
দেশে ৩০%-এর মধ্যে অ্যান্টিবডি
দেশের ৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে এই সরকারি প্যানেল। যার অর্থ হল এইসব মানুষেরা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। অগাস্টের শেষ নাগাদ ১৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল। প্যানেলের তরফে থেকে আগে বলা হয়েছিল মহামারী পরিস্থিতিতে ১০৬ লক্ষ উপসর্গ যুক্ত সংক্রমণ হবে। বর্তমানে প্যানেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, উপসর্গযুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লক্ষ।
অনেক উত্তর অজানা
প্যানেল এখনও পর্যন্ত উত্তর দিতে পারেনি, কেন আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে যাচ্ছে। কেন, মে থেকে জুনের মধ্যে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরার সময়ে সংক্রমণ সর্বোচ্চে পৌঁছয়নি। দেশব্যাপী এপ্রিল মে মাসের লকডাউন কী প্রভাব ফেলেছে তা প্যানেল খতিয়ে দেখেছে। যদি লকডাউন না করা হত তাহলে জুন মাসেই আক্রান্ত ১৪ গুণ বৃদ্ধি পেত। যে মাস থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। অধ্যাপক এম বিদ্যাসাগর বলেছেন, যদি সেপ্টেম্বরের বদলে মহামারী জুনের শেষে শীর্ষে পৌঁছে যেত তাহলে সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যেত।
মে মাসে প্যানেল তৈরি করেছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক
ভবিষ্যথ সংক্রমণের ওপর নজরদারি করতেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হলেও, আগামী সপ্তাহে তা বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করা হবে। সংক্রমণ, লকডাউনের প্রভাব, মাইগ্রেশন, আনলকের পদ্ধতি প্যানেলের হিসেবের মধ্যে রয়েছে।