করোনার জের! পঠনপাঠন শুরু হলেও এখনই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ সিংহভাগ অভিভাবক
ক্রমেই আরও ভয়াবহ হচ্ছে করোনার রূপ। আর তাতেই বাড়ছে আশঙ্কা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনোও চিহ্নই দেখা যাচ্ছেনা আগামী কয়েক মাসেও। এদিকে, করোনার জেরে গত প্রায় ৬মাস ধরে বন্ধ দেশের সমস্ত শিক্ষাক্ষেত্র। থমকে রয়েছে পঠনপাঠন। এমতাবস্থায় একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় স্কুল খোলা হবে শোনা গেলেও অধিকাংশ অবিভাবকরাই করোনা আতঙ্কের জেরে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ।
চতুর্থ দফার আনলক পর্বে নতুন কি কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার?
ভারত বর্তমানে আনলকের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আনলকের চতুর্থ পর্ব ১লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের তরফে এই বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন ঘোষণা করা হয়নি। আনলকের তৃতীয় পর্বে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা এবং সিনেমা হলগুলি চালু করার অনুমতি ছিল না। তবে দেশে জিম, হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলি একে একে খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
স্কুল খুললেও এখনই বাচ্চাদের পাঠাতে রাজি নন অবিভাবকরা
সম্প্রতি লোকাল সাইক্লসের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে যদি স্কুল গুলি পুনরায় খোলে তবে দেশের ৬২% অবিভাবক এই অবস্থায় তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ। সমীক্ষাটি ২৬১টি জেলার প্রায় ২৫,০০০ মানুষের উপর চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে।
লোকাল ট্রেন, মেট্রোতেও 'না' ৫১% মানুষের
দেশে স্কুল কলেজের পাশাপাশি প্রায় দীর্ঘ ৬ মাসের উপর বন্ধ রেলের চাকাও। এমতাবস্থায়, সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যদি ফের লোকাল ট্রেন বা মেট্রোচালুও হয়, তা ব্যবহার করতে নারাজ প্রায় ৫১% মানুষ। লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চড়তে সম্মতি জানিয়েছেন মাত্র ৩৬ %, এবং এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ১৩ শতাংশ মানুষ।
দিল্লিতে মেট্রো পরিষেবা চালু করার আর্জি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
এদিকে রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, দিল্লির পরিস্থিতি আলাদাভাবে বিবেচনা করে রাজ্যে মেট্রো পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে। ব্যবসা ও যাতায়াতের সুবিধার জন্য দিল্লিতে মেট্রো চালুর আর্জি জানান কেজরিওয়াল।
সিনেমা হলে যেতে নারাজ ৭৭ শতাংশ মানুষ
করোনা কালীন আনলকদশায় সিনেমা হল খুললে সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৩% মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেছে, ৭৭% নিজেদের সুরক্ষাকে এগিয়ে রেখেছেন সিনেমা হলে যাওয়ার চেয়ে। পাশাাপশি ১৪% মানুষ উদাসীনভাবে উত্তর দিয়েছেন যে সিনেমা দেখতে তারা হলেই যান না।