করোনা ব্যবসায় জর্জরিত মানুষ! ১ লক্ষ টাকার পিপিই-র বিল মেটাতে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই
একটি এন ৯৫ মাস্ক সহ পিপিই কিটের দাম ১ লক্ষ টাকা! বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। প্রাইভেট হাসপাতালগুলি এভাবে সাধারণ মানুষের উপর নিজেদের জোর খাটিয়ে এই করোনা মহামারীর সময় লাভ করে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালের বিলের ৫০ শতাংশই খরচ হচ্ছে এই পিপিই ও এন ৯৫ মাস্ক বাবদ।
করোনার পাশাপাশি বেড়েছে পিপিই-র দাম
করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা যখন দেশে এসে লেগেছিল, সেই সময় দেখা যাচ্ছিল, পিপিই ও এন ৯৫ মাস্কের বিল পুরো হাসপাতাল বিলের মাত্র ১০ শতাংশ ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে দেশে যত সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে, ততই লাফিয়ে বেড়েছে পিপিই ও এন ৯৫ মাস্কের দাম।
মুম্বইয়ে পিপিই কিটের জন্য ১.৪ লক্ষ টাকার বিল
মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া এক রোগী এই বিষয়ে জানান যে তাঁকে যখন ডিসচার্জ দেওয়া হয়, তখন তাঁকে ২.৮ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়। তাতে দেখা যায় ১.৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে পিপিই বাবদ। তিনি ১৯ দিন সেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলেও জানান।
বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ
এদিকে পিপিই ও মাস্কের দাম মেডিক্লেইমে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। দিল্লিতেও একজন রোগী জানান যে ৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর পিপিই বাবদ তাঁর থেকে ৮০ হাজার টাকা চাওয়া হয় হাসপাতালের তরফে।
হাসপাতালের বিল মেটাতে ঋণ নিতে বাধ্য অনেকেই
এদিকে এই পরিস্থিতিতে অনেক সাধারণ মানুষই উপায় না পেয়ে হাসপাতালের বিল মেটাতে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে মানুষ মেডিক্লেইম করানোর দিকেও ঝুঁকেছে। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও মহামারীর সুযোগে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোও প্রিমিয়ামের মূল্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ
এদিকে দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সংক্রমণ ছড়িয়েছে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর। তথ্য বলছে, দেশে সবথেকে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে জুন মাসে। গত মাসের ২৮ তারিখের পর থেকে দেশে ব্য়াপক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ২৮মে করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের দশম স্থানে ছিল ভারত। তারপর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এল।
সারদা সহ ১০২টি চিট ফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের