করোনার প্রভাব পড়েছে ডেটিংয়েও, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই চলছে প্রেম–ভালোবাসা
করোনার প্রভাব পড়েছে ডেটিংয়েও, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই চলছে প্রেম–ভালোবাসা
ভালোবাসা ও ডেটিং মোটেও সহজ কাজ নয়। যেখানে বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে সামাজিক দুরত্বের হিড়িক। তাই এই সময়ে তা আরও বেই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৯ বছরের দীপ্তি বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে আসবেন। এই প্রেমিকের সঙ্গেই স্কাইপি ও চ্যাটিংয়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসানোর আগে পর্যন্ত বহু গল্প করেছেন। এ প্রসঙ্গে দীপ্তি বলেন, 'আমার সহ–কর্মীরা আমায় বলেছেন যে এই মুহূর্তে সফর করা একদমই ঠিক নয়। আমায় এটা খুব অবাক করল যে আমি সেখানে গেলে হয়ত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারি।’ দীপ্তি এরপর মজার ছলে বলেন, 'আমি ভাবছি তাকে বলব যে সে আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করতে পারে আমার পরিবর্তে, যদি আমার বান্ধবীকে তার ভালো লাগে তার মানে আমাকেও তার ভালো লাগবে।’
ফ্লো ডেটিং অ্যাপও বন্ধ কিছুদিনের জন্য
ফ্লো ডেটিং পরিষেবার কর্ণধার সিদ্ধার্থ মনঘারাম জানান, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া বা রোম্যান্স হয়ত কিছুদিনের জন্য বন্ধ কিন্তু মেসেজের মাধ্যমে চ্যাটিং ও ফ্লার্টিং করা যেতেই পারে। সেটা বন্ধ নয়। তিনি জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের ফলে তরুণ প্রজন্মের পেশাদারদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে হচ্ছে, তাঁরা একে তো বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন তারওপর একা। সিনেমা বা অন্য সামাজিক স্থানগুলিতেও যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই ফ্লো-তে এই কয়েক সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষের মেসেজ করা বেড়ে গিয়েছে। যদিও কিছুদিনের জন্য ফ্লোয়ের পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
টিন্ডারেও স্যানিটাইজার ব্যবহারের আর্জি
অন্য এক ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারেও পড়েছে কোভিড-১৯-এর প্রভাব। টিন্ডারের পক্ষ থেকে একটি উপদেশ জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘মজা চালিয়ে যান, কিন্তু তার সঙ্গে সকলকে মনে রাখতে হবে যে সবসময় স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন।'
করোনা ভাইরাস চলাকালীনই ডেটে যেতে ইচ্ছুক নতুন প্রজন্ম
তরুণ প্রজন্ম কি এখনও অচেনা কারোর সঙ্গে ডেটে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন? কিউপিড অ্যাপ ভারতে তাদের ১৫,০০০ ব্যবহারকারীকে প্রশ্ন করেছিল এটা। তারমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ডেটে যেতে ইচ্ছুক ৭৪ শতাংশ। যদিও বিশ্বজুড়ে ৮৮ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন যে তাঁরা ব্লাইন্ড ডেটে এই সময়েও যেতে চান। আমেরিকাতে ৯২ শতাংশ মানুষই খুশি হবেন যদি তাঁরা ডেটে যেতে পারেন। তবে কিছুজন রয়েছেন তাঁরা ডেটে যেতে চান ঠিকই কিন্তু আগাম সতর্কতা নিয়ে। ২৪ বছরের মধুশ্রী ভারতে করোনা থাবা বসানোর পরই ডেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বারংবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন হাতে এবং তাঁর ডেটের সঙ্গে করমর্দন বা আলিঙ্গন করেননি।
অসামাজিক হয়ে যাওয়া কিছুদিনের জন্য
স্বামী-স্ত্রী হোক বা প্রেমিক-প্রেমিকা বর্তমান সময়ে কেউই শারীরিক সংস্পর্শে সেভাবে আসা পছন্দ করছেন না। তার কারণ একটাই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। চূড়ান্ত সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাই এই সংক্রমকের একমাত্র ওষুধ অন্তত এই সময়ে বিশেষজ্ঞদের মতে অসামাজিক হয়ে যাওয়াই ভালো কিছুদিনের জন্য।
করোনা ঠেকাতে প্রবীন নাগরিকদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত জেনে নিন