করোনা সংকট: পার্থ, অধীর থেকে নীতিন গড়করিরা একযোগে এগিয়ে এলেন সাহায্যে! চলছে সাধ্যমতো প্রচেষ্টা
করোনার সঙ্গে প্রবল যুদ্ধে গোটা দেশ। এমন সংকটকালে দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে একযোগে যুদ্ধের ময়দানে নামার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৮ দিনের মহাভারতের যুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে মোদী ২১ দিনের লকডাউনে করোনার চেইন ভাঙার বার্তা দিয়েছেন। একই ভাবে লকডাউনে মানুষকে রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য থেকে কেন্দ্র, সমস্ত স্তরের রাজনীতিকরাও নামলেন করোনা যুদ্ধে সাহায্যটুকু এগিয়ে দিতে।
অধীরের অনুদান
বাংলার রবিনহুড নামে তিনি পরিচিত। বহরমপুরের অধীর চৌধুরী যে মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বহু সময়েই তা জানে মুর্শিদাবাদ থেকে কাঁথি। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংকটকালে নিজের কদিনের বেতন ও সাংসদ তহবিলের ৩০ লক্ষ টাকা অধীর চৌধুরী দান করেছেন করোনা ত্রাণে।
নীতিন গড়করির সাহায্য
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিও এদিন করোনার ত্রাণে আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে আসেন। নিজের এক মাসের বেতন তিনি এই ত্রাণে দান করেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্য
করোনা সংকট রাজ্যে ঘনীভূত হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন ২০০ কোটি টাকার ত্রাণ তহবিল। সেখানে তাতে সকলকে সাধ্যমতো সাহায্যের আবেদন করেন মমতা। আর সেখানেই যাতে অনুদান আরও বাড়ে তার চেষ্টায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি সকলকে সেই তহবিলে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন।
বামেদের তরফে দান
এদিকে রাজ্যের সিপিএম বিধায়করা প্রত্যেকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন করোনা সংকট মোকাবিলায়। রাজনীতির রঙ ভুলে এভাবেই বিভিন্ন নেতামন্ত্রীরা এগিয়ে এসেছেন দেশের সংকটে।
বিজেপি নেতা , সাংসদদের দান
লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় মাহাতো, শান্তনু ঠাকুররা একযোগে আর্থিক মদতে এগিয়ে এসেছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রত্যেক সাংসদের তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা করে করোনা চিকিৎসার জন্য দান করছে।