করোনার হানা দানবীয় আকারে বাড়ছে ভারতে!মাত্র ৪০ হাজার ভেন্টিলেটর নিয়ে কতটা প্রস্তুত দেশ
১৩০ কোটি ভারতবাসী। আর মজুত রয়েছে ৪০ হাজার ভেন্টিলেটর। ভারতে এনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৬। গত ২ সপ্তাহে লাফিয়ে বাড়ছে মহামারীতে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের তালিকাও ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে করোনা যুদ্ধের সঙ্গে লড়ার জন্য 'হাতিয়ার' মজুত দেখে নেওয়া যাক।
মাস্ক ঘিরে অসন্তোষ
কয়েকদিন আগেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাস্কের অভাবের জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আপৎকালে যাবতীয় স্বার্থত্যাগ করে নিরন্তর সেবা করে চলেছেন যে চিকিৎসকরা তাঁদের কাছেই মাস্ক পৌঁছচ্ছেনা। অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমন অভিযোগ শুধু মালদা মেডিক্যাল কলেডের নয়, দেশের ববু অংশেই জুনিয়র চিকিৎসকদের মাস্ক নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনা প্রতিরোধে।
একদিনে বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা ও ভারত
উল্লেখ্য়, জনতা কার্ফুর দিনই ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে ৮১ টি ঘটনা সামনে এসেছে। যে পরিস্থিতি ক্ষুদ্রপরিসরে ইতালির সঙ্গে তুলনায় আসছে। কারণ ইতালিতেও এমনই শতাংশের হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে মুহূর্তের মধ্যে বেড়ে যাওয়া আক্রান্তদের চিকিৎসায় ভারতের পরিকাঠামো আদৌ কতটা মজবুত তা নিয়ে জল্পনা চড়ছে। কারণ ইনটেনসিভ কেয়ারের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। আর এই ইনটেনসিভ কেয়ারের সংখ্য়া ১৩০ কোটির দেশে সেভাবে খুব একটা বেশি নেই।
ভেন্টিলেটর প্রয়োজন, তবে..!
ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসক ধ্রুব চৌধুরী বলছেন, ভারতে আপাতত ৪০ হাজার ভেন্টিলেটর রয়েছে। এদিকে, করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ফুসফুসে। একজন করোনা রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য ভেন্টিলেটর প্রয়োজন।তবে সেটারই উপযুক্ত সংখ্যা নেই ভারতে। এই ৪০ হাজার ভেন্টিলেটর শহর, মফস্বলের হাসপাতাল ও সরকারী হাসপাতালে রয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় এর যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এদিকে বিদেশ থেকে ভেন্টিলেটর আমদানীও করতে পারছে না ভারত,কারণ করোনার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে যন্ত্র তৈরির জন্য যন্ত্রাংশের যোগানও একই কারণে বন্ধ। ফলে সংকট ক্রমেই বাড়ছে
একদিনে কতজনের টেস্ট সম্ভব?
গত এক সপ্তাহে মোট ১৭ হাজার রোগীর করোনা টেস্ট হয়েছে। তবে এখন যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেক্ষেত্রে একদিনে ১০ হাজার রোগীর টেস্টিং ই সম্ভব। এরজন্য সারা দেশে মাত্র ১১১ টি ল্যাব কাজ করছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে করোনার টেস্টিং ল্যাব আরও বেশি থাকলে, সম্ভবত এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি আরও খানিকটা স্পষ্ট হত।
কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব?
আইসিএমআর গতকালই জানিয়েছে যে করোনা রোগীদের মাত্র ৫ শতাংশের যাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। এঁদের আইসিইউ প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে হু নির্দেশিতে সাবধনতা অবলম্বন করার জন্য বারবার নির্দেশ দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে বাইরে না বেরোনো যতটা উপযুক্ত ততটাই হাত বারবার ধোয়াও প্রয়োজনীয়।