করোনার বিষ দংশনে ভারত: 'সোশ্যাল ডিসটেন্সিং' কত শতাংশ হানা কমাতে পারে! তাক লাগানো পরিসংখ্যান
করোনার বিষ দংশনে ভারত: 'সোশ্যাল ডিসনেন্সিং' কত শতাংশ 'হামলা' কমাতে পারে জানেন!
দেশের একাধিক জায়গায় কোথাও কার্ফু কোথাও লক ডাউন। কিন্তু লক ডাউন থাকা অবস্থাতেও সাধারণ মানুষকে দেখা যাচ্ছে ঘরের বাইরে যেতে। অনেকেই রাস্তাতে খামোকা ঘোরাফেরা করছেন। করোনার জেরে মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্বে থাকাটা কতটা জরুরি সেই সচেতনতা নেই অনেকেরই! এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তাকেও অগ্রাহ্য করছেন অনেকে। এবার আইসিএমআর এই বিষয়ে নিয়ে গোটা দেশকে সতর্ক করল।
মানুষের থেকে মানুষের দূরত্ব কতটা প্রয়োজন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখার জন্য আপাতত সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। অর্থাৎ সামাজিকভাবে একজন মানুষ অন্য মানুষের থেকে আপাতত দূরে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক্ষত্রেই ঘরবন্দি অবস্থার কথা বলা হচ্ছে। যাতে মানুষ ঘরে থেকে এই বাহ্যিক দূরত্ব আপাতত বজায় রাখেন।
আইসিএমআর-এর বার্তা
আইসিএমআর জানিয়েছে, যদি দেশের মানুষ একযোগে আপাতত বাড়ি বন্দি থাকেন আর নিজের সঙ্গে অন্যের দূরত্ব বজায় রাখেন,তাহলে গোটা দেশে ৬২ শতাংশ করোনার হামলা রোখা যেতে পারে। শতাংসের বিচারে এই পরিসংখ্যানটা নেহাত কম নয়।
আইসিএমআর -এর কড়া বার্তা
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএম আর সাফ বার্তায় জানিয়ে দিয়েছে যে যাঁদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যাবে , তাঁদের যেন অবশ্যই গৃহবন্দি করা হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন। তাতে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তা রোখা সম্ভব।
স্টেজ ৩ এর দিকে ভারত!
দেশে এখন স্টেজ ২ পরিস্থিতি করোনা ভাইরাস নিয়ে। সেভাবে নিশ্চিত করে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বার্তা মেলেনি। তবে পুনে, নয়ডায় এমন কিছু রোগীর কথা জানা গিয়েছে যাঁরা বিদেশ থেকে না এলেও , এঁদের দেহে করোনার চিহ্ন মিলেছে। ফলে সরকারি নির্দেশ মেনে ঘরবন্দি থাকাটা জরুরি।