দেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে সনিয়া গান্ধী? তদন্তের দাবি তুলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি এনডিএ সাংসদের
করোনা ভাইরাসের প্রভাব ভালো মতই পড়েছে সংসদে। দিল্লির হিংসা নিয়ে সরকার-বিরোধী তরজার মাঝেই দিল্লি ও দেশের অন্যত্র করোনা ভাইরাসের ছড়ানোয় তার প্রভাব দেখা যায় সংসদে। রক্ষীদের মুখে মাস্ক থেকে সাংসদদের হাতে স্যানিটাইজার, আজ কিছুই বাদ যায়নি সংসদে। এরই মধ্যে আজ লোকসভার ভিতরেও করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার-বিরোধী তরজা শুরু হয়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে কেন্দ্র-বিরোধী তরজা
বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস নিয়ে সাসংদদের নিশ্চিন্ত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তবে সেকথায় কান না দিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, 'কেন্দ্রের আরও আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। রাহুল গান্ধী আগেই এই বিষয়ে সরকারকে অবগত করেছিলেন।' এরপরই কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে পাল্টা তোপ দাগেন রাজস্থানের সাংসদ তথা আরএলপি নেতা হনুমান বেনিওয়াল। প্রসঙ্গত, আরএলপি কেন্দ্রে বিজেপির শরিকদল।
'সনিয়া গান্ধীর বাড়ি থেকেই ছড়াচ্ছে করোনা?'
এদিন বেনিওয়াল কটাক্ষের সুরে অভিযোগ করেন, 'অবিলম্বে একটি তদন্ত হওয়া উচিত। খতিয়ে দেখা উচিত কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাড়ি থেকেই এই করোনা ভাইরাসে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে কি না। ইতালিতে এই সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে সনিয়া গান্ধীর বাড়িতে এই ভাইরাস রয়েছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ।'
করোনা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে খোঁচা বিজেপি নেতার
এর আগে প্রায় একই সুরে করোনা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি। বিধুরি বলেন, 'কিছু দিন আগেই ইতালি থেকে ফিরেছেন রাহুল গান্ধী। আমি জানিনা, বিমনাবন্দরে ওঁর পরীক্ষা হয়েছে কি না। ওঁর উচিত নিজের মেডিক্যাল চেক আপ করানো। তাতে জানা যাবে যে উনিও এই ভাইরাসে আক্রন্ত কি না।'
করোনা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতে!
এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের জেরে আতঙ্ক ক্রমেই ছড়াচ্ছে ভারতে। ইতিমধ্যেই দেশে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সর্বত্রই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চোখে পড়েছে দেশের সংসদ ভবনেও। দেশের অইনপ্রণেতাদের মধ্যে যাতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা পরে আছেন গ্লাভস। এছাড়া কর্মীদের মাল্ক পরে থাকতেও দেখা যায় সংসদ ভাবনে। তাছাড়া বিভিন্ন সাংসদদের দেখা যায় করমর্দনের বদলে হাত জোড় করে একে অপরকে সম্বেধন করতে।
নজরদারি চালানো হচ্ছে ২৮ হাজার মানুষের উপর!
তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার-বিরোধী তরজার মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে অভয় দেন দেশের জনগণকে। তিনি বলেন, 'করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এনিয়ে নির্দেশিকা জারির আগে থেকে ভারত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। আমি নিজে প্রতিদিনই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, এই মুহুর্তে সারা দেশে ২৮,৫২৯জনকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।