করোনা গ্রাস: লকডাউন উঠলেও নয়া পন্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা শুরু!কেন্দ্রের নতুন রোডম্যাপ
দেশের একাধিক শহর ও এলাকাকে করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকা। যে এলাকায় ধর্মীয় সভার জেরে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে । আর ২১ দিনের লকডাউন ভেঙে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন উঠে গেলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় রোগ কীভাবে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এনিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এক একটি এলাকায় ভিন্ন পন্থা!
এক সর্বভারতীয় পত্রিকার খবর অনুযায়ী, সম্ভবত এইচওয়ানএনওয়ান মোকাবিলায় সরকার যে পন্থায় এগিয়ে ছিল , সম্ভবত সেই পন্থায় এগিয়ে যেতে হবে এবারেও। সেক্ষেত্রে ভারতের বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও বেশ কয়েকটি বিধি আরোপিত হতে পারে। যা শুধুমাত্র কোভিড ১৯ কে ছড়ানোর হাত থেকে মোকাবিলা করার জন্য। যদিও সরকারি তরফে এবিষয়ে কোনও নিশ্চিত বার্তা দেওয়া হয়নি।
রোডম্যাপে কোন কোন লক্ষ্য
সূত্রের দাবি, সরকার চাইছে ,কমিউনিটি ট্রান্সমিশনকে আটকাতে। প্রশাসনের প্রথম টার্গেট ছিল যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের থেকে সংক্রমণকে রোখা। দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল স্থানীয় সংক্রমণকে রোখা আর তৃতীয়তে এই রোগকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে রুখে দিয়ে করোনাকে ভারতে মহামারী হয়ে ওঠা থেকে আটকানো।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি!
কেন্দ্রের এক আমলা সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি। প্রশাসনিক একাধিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এখনও সম্ভব। এজন্য হোম কোয়ারেন্টাইন পন্থা সম্ভবত লকডাউনের পর বেশ কিছু ব্লক বা হটস্পটে লাগু থাকলেও থাকতে পারে । এই ভাবনায় যদিও প্রশাসনিক স্তরে কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?
জানা যাচ্ছে, দেশের কিছু অংশে বড় জমায়েত সম্ভব রোখা হতে পারে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু হতে পারে। বহু জায়গায় প্রবেশ ও বেরোনোর মুখে থার্মাল স্ক্রিনিং এর পন্থা অবলম্বন করতে পারে সরকার। পর্যটনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ একাধিক জায়গায় লাগু হতে পারে।