লকডাউন তুলে নিতে মন্ত্রীদের কোন প্ল্যান-এর প্রস্তুতির নির্দেশ মোদীর! হটস্পট নিয়ে নয়া জল্পনা
২১ দিনের লকডাউনে আজ ভারত ১৩ তম দিনে। এই সময়ের মধ্যে ঘটে গিয়েছে একাধিক কাণ্ড। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন ৪ হাজারের গন্ডি ছাড়িয়েছে , তেমনই মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এদিকে, দেশের একাধিক কোভিড ১৯ হটস্পট চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । এরপর মন্ত্রিসভার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বড় বার্তা দিয়েছেন লকডাউন নিয়ে। এমনই তথ্য উঠে আসছে ।
লকডাউন খোলা নিয়ে কোন তথ্য?
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর খবর অনুযায়ী , নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের লকডাউন তুলে নেওয়া নিয়ে একটি বিশেষ প্ল্যান প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর সাফ বার্তা, দেশে যে সমস্ত এলাকা কোভিড হটস্পট নয়, সেখানে লকডাউন কীভাবে তোলা হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
কোন ইঙ্গিত স্পষ্ট!
পিটিআই সূত্রের খবরে স্পষ্ট যে , লকডাউন আপাতত ভারতের করোনা হটস্পটগুলি থেকে সহজে তুলে নেবে না মোদী সরকার। আর বাকি এলাকাগুলি থেকে তুলে নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, লকডাউন ধাপে ধাপে যাতে তোলা যায়, তার পরিকল্পনা মন্ত্রিদের করতে হবে। এই ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা কেবলমাত্র হটস্পটের বাইরে থাকা এলাকাগুলির ক্ষেত্রে করতে হবে।
করোনা হটস্পট কোনগুলি
হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এবং নিজামুদ্দিন, নয়ডা-মেরাঠ, ভিলওয়ারা, আহমেদাবাদ, কসরগড়-পাঠানমথিট্টা, মুম্বই এবং পুনে। এছাড়া আরও ২২টি সম্ভাব্য হটস্পট-এর উপর নজর রাখছে সরকার। সেখান থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগের কাজ করছে সরকার।
করোনা লকডাউন তোলা নিয়ে কেসিআর এর বার্তা মোদীকে
নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়ে কেসিআর এর বক্তব্য, ' আমি লকডাউন ১৫ এপ্রিলের থেকে বাড়িয়ে দেওয়ার সমর্থনে। আমরা অর্থনীতি ফের চাঙ্গা করতে পারব কিন্তু প্রাণ বাঁচানো মুশকিল হবে। আমাদের একমাত্র অস্ত্র লকডাউন। আমরা যুক্তরাজ্যের অধীনে নই।' তিনি আগামী ৩ জুন পর্যন্ত এই সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর দাবি বিসিজির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত এই কাজ করলে আখেরে লাভবান হবে।