করোনা লকডাউনে প্রবল ধাক্কা খুচরো ব্যবসায়, ১ কোটির চাকরি হারানোর আশঙ্কা
করোনা লকডাউনে প্রবল ধাক্কা খুচরো ব্যবসায়, ১ কোটির চাকরি হারানোর আশঙ্কা
করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। যাবে বিপুল খতির মুখে পড়েছে দেশের খুচরো ব্যবসা। লকডাউনে গোটা দেশেই দোকানবাজার সব বন্ধ। যার জেরে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে খুচরো ব্যবসায়ীদের। যার কোপ পড়বে চাকরির উপর। মনে করা হচ্ছে প্রায় ১ কোটি মানুষের চাকরি যেতে পারে এই লকডাউনের কারণে।
কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
লকডাউনে স্তব্ধ গোটা দেশ। প্রমাদ গুণছে ভারতের অর্থনীতি। প্রায় ১৩ কোটিক উপর চাকরি খরচের খাতায় য়াওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুচরো ব্যবসা। লকডাউনের কারণে প্রায় ১ কোটি চাকরি যেতে পারে এই খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রে। কারণ লকডাউন এখনও চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনেও ছাড় দেওয়ার কথা বলা হলেও হকার্স কর্নার, সুপার মার্কেট, শপিং মল খোলায় ছাড় দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই খুচরো ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়বে কর্মী ছাঁটাইয়ে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কোপ
লকডাউনে আরও একটি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে সেটা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এই দুই ক্ষেত্রেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রবণতা বাড়বে। সেকারণেই বারবার কংগ্রেস ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের অনুদানের জন্য সরব হয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আর্থিক অনুদানের জন্য বিশেষ করে অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য সুইগি, ওহিও, ট্রিবো, ফ্যাব হোটেলের মত সংস্থাগুলি একাধিক ক্ষেত্র বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেকারত্ব বাড়ছে
নতুন করে কোনও কর্মসংস্থানের কোনও আশা নেই। নির্মাণ শিল্পেও বহু মানুষ রোজগারহীন হয়ে পড়েছে। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে ৩০.৯ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে সেই সংখ্যা ২১ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। মে মাসের শুরুতে তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লকডাউন উঠলেই মেট্রোয় নয়া বন্দোবস্ত! সোশ্যাল ডিসটেন্সিং নিয়ে কোনপথে কেন্দ্র