রাজস্থানে নতুনভাবে দেখা দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ, উচ্চ–পর্যায়ের দল যাচ্ছে এই তিন রাজ্যে
একসময় যে সব রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বোঝা ছিল হাতে গোনা, এখন সেই সব রাজ্যগুলিতে বাড়ছে করোনা কেস। যে কারণে কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে উচ্চ–পর্যায়ের দল পাঠাচ্ছে কোভিড–১৯ প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের জন্য।

সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে মহারাষ্ট্র–কর্নাটকে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে বা স্থির হয়ে রয়েছে একটা সংখ্যাতেই, সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। অন্যদিকে, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, এমনকী হিমাচল প্রদেশেও উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয় কেস মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। শীর্ষ দশে রাজ্যের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যোগী রাজ্যও, গত দু'সপ্তাহে এই রাজ্য সক্রিয় কেসের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে তা সামান্য বেশি, ৫০০-এর চেয়ে কিছুটা কম।

কোভিড কেসের সংখ্যা সর্বোচ্চ দিল্লি–কেরলে
অপরদিকে দিল্লি ও কেরলে দৈনিক কোভিড কেসের সংখ্যা সর্বোচ্চ। অথচ এই দুই রাজ্য করোনা ওয়েভের শীর্ষ অতিক্রম করেছে এবং এখন এই দুই রাজ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। তবে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র বা অন্য দশ রাজের তুলনায় কম কেস নথিভুক্ত হচ্ছে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে। তবে এই রাজ্যগুলিতে আগের তুলনায় বেশি করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ফচ্চ-পর্যায়ের দল পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে। কিছুদিন আগেই একই ধরনের দল পাঠানো হয়েছিল রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানা ও ছত্তিশগড়েও।

তিন রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা কেস
জাতীয়ভাবে করোনা ভাইরাস কেস প্রতিদিন ০.৪৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বোচ্চ কেসের বোঝা রয়েছে এমন রাজ্যের মধ্যে মাত্র তিনটি রাজ্য দিল্লি, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে জাতীয় হারের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। অন্যদিকে, ২০টি রাজ্যের মধ্যে ১৪টি রাজ্যে জাতীয় হারের তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। গত দু'মাস ধরে দেশের সক্রিয় করোনা ভাইরাস কেস নিম্নগামী। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে সক্রিয় করোনা কেস ছিল ১০.১৭ লক্ষ আর এখন সেটা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪.৪ লক্ষ। তবে গত তিনদিন ধরে সক্রিয় কেসের সংখ্যা সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। এর জন্য অবশ্যই কিছু রাজ্যের ধন্যবাদ প্রাপ্য।

রাজস্থান, হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশ
গত দু'প্তাহে সক্রিয় কেস অসম্ভবভাবে বেড়ে গিয়েছে রাজস্থানে। এই রাজ্যে ৫,৬০০-এর বেশি কেস দেখা দিয়েছে। এরপরই রয়েছে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশ। শনিবার রাজস্থানে এই প্রথমবার দৈনিক নতুন কেস ধরা পড়েছে ৩ হাজারের বেশি এবং রবিবার রাজ্যে ২,২৬০টি নতুন কেস সনাক্ত হয়েছে। একইভাবে হিমাচল প্রদেশ, যেখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩৫ হাজার, সেখানেও গত দু'সপ্তাহ ধরে দৈনিক করোনা কেস গড়ে ৬৫০টি করে ধরা পড়ছে। এই মাসের আগে কোনওদিন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬০-এর বেশি রিপোর্ট হয়নি। শনিবার এই রাজ্যে ৯১৫টি নতুন কেস সনাক্ত হয়েছে। এই নভেম্বর মাস শুরু হওয়ার পর থেকে সক্রিয় কেসের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ, ৩ থেকে ৭ হাজার। শুক্রবার হরিয়ানাতেও একদিনে সর্বোচ্চ কেস ধরা পড়েছে, এই প্রথমবার একদিনে ৩ হাজার কেস দেখা দিয়েছে এই রাজ্যে। এখানেও শেষ একমাসে সক্রিয় কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এমনকী পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে দেশে নতুন কেসের অবদানে হরিয়ানাও রয়েছে গত দু'সপ্তাহ ধরে। হিমাচল প্রদেশে নয়া কোভিড সংক্রমণ দেখার পর আশা করা হচ্ছে যে গুজরাত, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। কিছুমাস আগেও এই রাজ্যগুলি সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে এবং সর্বোচ্চ কেসের বোঝায় পাঁচটি রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে।

কোভিড বিধি মানা হয়নি উৎসব মরশুমে
এই রাজ্যে করোনা কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে যে উৎসহ মরশুমে এখানে শারীরিক দুরত্বের বিধি যথাযথভাবে মেনে চলা হয়নি। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহারও কম হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজেপির মোকাবিলায় নতুন পরিকল্পনা! এবার 'দুয়ারে দুয়ারে' যাবে সরকার, বাঁকুড়া থেকে ঘোষণা মমতার