ভারতে করোনা ভাইরাস :এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে আক্রান্তের হার কোনদিকে! পরিসংখ্যান একনজরে
করোনার আবহে ভারত আপৎকালীন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ক্রমেই মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে এই রোগের প্রভাব। যদিও সরকারের দাবি, ভারত এখনও পর্যন্ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে আসেনি। তবে যেভাবে কোভিড ১৯ এর ঘটনা এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। এমন পরিস্থিতিতে এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনের ভারতের পরিস্থিতি একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনের হিসাব
১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ভারতে ৫০ শতাংশ করোনা ভাইরাসের ঘটনা উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, মার্চের ২৫ থেকে ৩১ তারিখের তুলনায় যদিও তা তুলনামূলকভাবে কম। তবুও যেভাবে একাধিক রাজ্য থেকে করোনার প্রভাবের খবর এসেছে , তাতে রীতিমতো তোলপাড় গোটা দেশ।
৫ এপ্রিল পর্যন্ত কতজন সুস্থ?
পরিসংখ্যান বলছে, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২৭৫ জন। ফলে ভারতের ৪ হাজার আক্রান্তের মধ্যে এই সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এর আগে, মার্চের শেষ সপ্তাহে ১২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল করোনা আক্রান্তের হার। তা এপ্রিলের শুরুতে খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ার কিছুটা স্বস্তি মিলছে।
কোন ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে চিকিৎসায়?
লাভ আগারওয়াল জানিয়েছেন, ভারত করোনা যুদ্ধে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনাইন-কে হাতিয়ার করেই লড়াই চালাচ্ছে। কোভিড ১৯ রোগীদের থেকে যাঁদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা রেয়ছে তাঁদেরও এই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে । তবে এই ওষুধ যে ভারতের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রবলভাবে কার্যকরী হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এখনও মেলেনি।
ওষুধের অর্ডার
কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ১০ কোটি হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনাইন তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করোনার সংক্রমণ এঁদেরকে না ছুঁতে পারে।