গ্রামীণ এলাকায় করোনা বাড়তেই মার্কিন মুলুককে ছাপিয়ে শীর্ষে ওঠার পথে ভারত
গ্রামীণ ভারতে করোনা পরিস্থিতি এখন কেমন? এই প্রশ্ন অনেক বিশেষজ্ঞকেই ভাবাচ্ছে। কারণ ভারতের গ্রামে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন শহুরে পরিযায়ী শ্রমিকরা। তবে গ্রামে সেভাবে করোনা বিধি মেনে কোনও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা ছিল না। লকডাউনও ঢিলেমি দিয়ে মানা হয়েছে। তাছাড়া সব থেকে বড় বিষয় প্রথম দিকে সেভাবে গ্রামে পরিক্ষাই হয়নি করোনা নমুনার।
যত পরীক্ষা বেড়েছে, ততই সংক্রমণের হার বেড়েছে
তবে যত পরীক্ষা বেড়েছে, ততই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণের হার বেড়েছে দেশে। এবং শহরের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে দেশের গ্রামাঞ্চলেও। দক্ষিণের তামিলনাড়ু হোক বা উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা, সব রাজ্যের গ্রামেই করোনা সংক্রমণ রোধী কোনও সতর্কতা নেই। যা পরিস্থিতি তাতে আমেরিকাকে আর কিছু দিনেই পার করবে ভারত।
আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাবে ভারত
আমেরিকায় বর্তমানে ৭৬ লক্ষ করোনা সংক্রমণের কেস রয়েছে। এদিকে ভারতে সেই সংখ্যা ৬৮ লক্ষ। কিন্তু বর্তমানে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার মার্কিন হারের থেকে ৩০ হাজার বেশি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভারত দ্রুতই আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলক কমেছে
তবে সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলক কমেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রায় এক লাখ হারে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছিল। আজ দৈনিক সুস্থের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে সংক্রমণের সংখ্যাকে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ২৭২ জন। সুস্থের সংখ্যা ৮২ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৪। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২৩ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৪১৬।
সংক্রমণের নিরিখে কোন রাজ্য এগিয়ে
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬ হাজার ১৮। সক্রিয় আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৪৭। এরপরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৬৪। সক্রিয় আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৬৬৫। কর্নাটক রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ২৬৯। সক্রিয় আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৭০।