দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণে পতন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৪৭ জনের
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই নেমেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৯৮৪ জন। হত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮,১৬৮ জন। অর্থাৎ সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি দেশে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২৪৭ জন।

এদিকে দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গতকালই মহারাষ্ট্রে নতুন করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা এবং ১ জন ভাসাইয়ের বাসিন্দা। মুম্বইয়ের ৭ আক্রান্তের মধ্যে আবার ৫ জন মহিলা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বাকিদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে কেউই বিদেশে যাননি বলে জানা গিয়েছে। তাতেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
এদিকে আবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে নিখোঁজ বিদেশ ফেরত ১৩০ জন যাত্রী। মোরাদাবাদ স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কয়েক আগে ৫১৯ জন যাত্রী বিদেশ থেকে ফেরেন। তাঁদের মধ্যে ১৩০ জনের খোঁজ মিলছে না। কয়েকদিন আগে জম্মুতেও বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। তারপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। এই নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে সতর্কও করা হয়েছে। দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ থাবা বসিয়েছে একাধিক রাজ্যে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ওমিক্রন সংক্রমণকে হালকা ভাবে নিলে হবে না। এটার উপসর্গ মৃদু হতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
এদিকে ওমিক্রন সংক্রমণের মাঝেই সুখবর শুনিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই শিশুদের করোনা টিকা নিয়ে আসবেন তাঁরা। এতে অনেকটাই আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি চেয়েছেন তিনি। তাতে শীঘ্রই গ্রিন সিগনাল দিতে চলেছে মোদী সরকার। এদিকে আবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুত কারক সংস্থা ফাইডারের ভ্যান্টি করোনা ট্যাবলেট ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গিয়েছে। এই ট্যাবলেট করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেয় বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এমনকী মৃত্যুর ঝুঁকিও ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়।
